ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে দুই শিশু, অবিনাশ রাই ও রোহিনী সেন। খল চরিত্রে প্রখ্যাত অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে দেবেশ রায়চৌধুরী, সন্দিপ মন্ডল, শান্তনু দাস, চিত্রা মুখোপাধ্যায়, সুজিত মুখোপাধ্যায় সহ অনেককে।
গল্পটি শুরু হয়, সুন্দরবনের এক মৎস্যজীবী পরিবারের একটি বাচ্চা ছেলে নরেনকে দিয়ে। জঙ্গলে গিয়ে মাছ ধরায় তার বিশেষ কৌতুহল। একদিন সে তার বাবার সঙ্গে জঙ্গলে যায়। রাতে সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকলে তার বাবাকে বাঘে জঙ্গলের ভিতর টেনে নিয়ে যায়। সবাই মিলে বাঘকে ধাওয়া করে এবং নরেনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। জঙ্গলের ভিতর সে পথ হারিয়ে ফেলে। একটি ছোট্ট মেয়ে এসে তাকে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং জঙ্গলের মধ্যে নিজের বাসস্থানে নিয়ে আসে। নরেন জানতে পারে মেয়েটি জঙ্গলের ডাকাত রহমানের একমাত্র কন্যা ঝিনুক। নরেন তাদের সঙ্গে নিরাপদে থাকতে শুরু করে। নরেন ও ঝিনুক খুব ভাল বন্ধু হয়ে ওঠে। রহমান ভয়ঙ্কর ডাকাত হলেও বাবা হিসেবে খুব আবেগপ্রবণ। ঝিনুক নরেনকে জঙ্গল ঘুরিয়ে দেখায়। সে পড়াশুনা করে না জেনে নরেন তাকে পড়াতে শুরু করে এবং ঝিনুকও ক্রমশ আগ্রহী হয়ে ওঠে। একদিন নরেন, ঝিনুক ও রহমান নৌকোয় চেপে জঙ্গল পরিদর্শনে বের হয়। হঠাৎ একজন ফরেস্ট অফিসার রহমানকে ধরে ফেলে। জেলে মাঝির পোশাকে সেজে থাকা রহমান সেই অফিসারকে জেলে বলেই পরিচয় দেয়। নরেন মনে মনে ভাবে যে, সত্যি কথা বললে সে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে, কিন্তু তাতে রহমান গ্রেফতার হয়ে যেতে পারে। তাই ঝিনুকের কথা ভেবেই তার মন সত্যি বলতে সায় দেয় না। এরপর কী হবে? কোন দিকে এগোবে ছবির গল্প? জানতে, দেখতে হবে সুন্দরবনের গপ্পো৷
advertisement