আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার জয়ী দেবজ্যোতি মিশ্র
কিছুদিন আগেই হয়েছে ঐন্দ্রিলার সার্জারি। বাদ গিয়েছে আধখানা ফুসফুস। এখন চলছে কেমো। কেমন আছেন ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করে দর্শকদের মনে। অনেকেই প্রশ্ন করেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। উৎসুক প্রশ্ন আসে সংবাদ মাধ্যম থেকেও। সব্যসাচী ফেসবুকে প্রতিমাসেই তাই একবার করে ঐন্দ্রিলার কুশল বার্তা জানান (Aindrila Sharma Sabyasachi Chowdhury)। কিছুটা ডেইলি রুটিনের মতো মাসের শেষে প্রেমিকার হেলথ আপডেট তিনি পৌঁছে দেন সকলের কাছে।
advertisement
নিজেই লিখলেন, “আমি কাউকেই বিশেষ কিছু বলি না, আসলে ‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে। সত্যি বলতে, চোখের সামনে আমি যা দেখেছি এবং নিয়মিত দেখছি, সেটাতে ভালো থাকা বলে না, সেটাকে অস্তিত্বের লড়াই বলে। অবশ্য এইসব খটোমটো কথা কেবলমাত্র আমিই বলি, ওকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে এক গাল হেসে উত্তর দেবে ‘খুব ভালো আছি, আমার রাশিফল ভালো যাচ্ছে’…কথা ছিল সেপ্টেম্বর অবধি চিকিৎসা চলবে, ক্রমে সেটা গুটিগুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ডিসেম্বরে।"
সব্যসাচী (Aindrila Sharma Sabyasachi Chowdhury) এই পোস্টে জানালেন, প্রতিবার কেমো নেওয়ার পর কয়েক রাত অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করে ঐন্দ্রিলা। না পারেন শুয়ে থাকতে, না বসে থাকতে। রক্তচাপ কমে ৮০/৪০-এ এসে ঠেকে। চলে যায় খাওয়ার ইচ্ছা এবং স্বাদ। আর তখন কড়া ঘুমের ওযুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে রাখা হয় অভিনেত্রীকে। সেসব অন্ধকার সময় পাশে থেকে দেখছেন সব্যসাচী। তাঁর লেখার পরতে পরতে ছবির মতোই ফুটে উঠেছে সেই যন্ত্রনা।
আরও পড়ুন: তিলোত্তমাকে নিয়ে পাভেলের নতুন ছবিতে ইশা-সৌরভ-অপরাজিতা
যদিও আশাবাদী ঐন্দ্রিলা ভালো থাকতে ভালোবাসেন। তাই তো, একটু সুস্থ হলেই পুজোর জন্য অনলাইন শপিং করেন। লেজওয়ালা পোষ্যদের তদারকি করেন। এমনকী, প্রেমিক সব্যসাচীর ওপর নাকি ‘হম্বিতম্বি’ও করেন। অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজেকে তুলনা করেছেন গোলকিপারের সঙ্গে। লিখেছেন, ‘আমি শুধু দাঁতে দাঁত চিপে আগলাতে পারি, আমি শুধু বুঝি, গোল না খাওয়া মানে জিতে যাওয়া।’
প্রসঙ্গেত, ২০১৫ সালে প্রথমবার ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। তখন অবশ্য তিনি অভিনয়ের দুনিয়ায় আসেননি। কলেজে পড়তেন। সে লড়াই জিতে গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছিল জীবন। ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে সকলের মনও জয় করেছিলেন। ২০২০-তে দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। এবার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে। অস্ত্রোপচারে বাদ গিয়েছে অর্ধেক ফুসফুস। প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী এখন সবসময় সঙ্গ দেন প্রেমিকার। গল্প শোনেন ও শোনান। আর মনে মনে বিশ্বাস করেন, ‘ছাই থেকে যেমন ফিনিক্স পাখি উঠে আসে, সেইভাবে ঐন্দ্রিলা ফিরবেন তাঁর কর্মক্ষেত্রে।’ আর এভাবেই ভালোবাসা, বন্ধুত্বের এক অন্য আলেখ্য রচনা করেছেন দুই প্রেমিক যুগল। যাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতে যেতে ভয় পাবে মারণ ব্যাধি ক্যানসারও।