বারাকপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলছেন তারকা নয়। একেবারে মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করবেন তিনি। রাজ হালিশহর অঞ্চলেই বড় হয়েছেন। প্রচারের সময়ে কী কী করণীয়, কোন কৌশলে চলা এবং দলের সতীর্থদের পাশে থাকা ইত্যাদি বিষয়টিও দেখছেন তিনি। সায়নী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন, সায়ন্তিকাদের এই বিষয়ে ক্লাসও নিয়েছেন রাজ।
advertisement
রাজ বলছেন, "আমরা সমস্তটার স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান করছি যাতে সবাই মিলে কাজটা করতে পারি। বারাকপুর থেকে প্রার্থী হয়ে খুশি রাজ। তিনি বলছেন, আমি তো বারাকপুরেরই ছেলে। কাঁচড়াপাড়ায় আমার জন্ম, হালিশহরে বড় হয়েছি। নৈহাটিতে আমার কলেজ। বারাকপুর, টিটাগড়, শ্যামনগর সমস্ত এলাকার অলিগলি আমি চিনি। মানুষকে চিনি। আমার খুব প্রিয় জায়গা।"
তিনি বলছেন, "আমি একজন প্রার্থী। আমায় তারকা হিসেবে দেখবেন না। তারকা হিসেবে নিজেকে ভাবলে রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারব না। আমায় একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে। এবং আমি সেটি গ্রহণ করলাম। "
এছাড়াও তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে তিনি জিতবেন বলেও আত্মবিশ্বাসী। অন্যদিকে কাঞ্চন মল্লিকও আশাবাদী যে তিনি মানুষের হয়ে কাজ করতে পারবেন। অভিনেতার দাবি, তিনি মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন। উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন কাঞ্চন মল্লিক। তিনি বলছেন, "দিদির দূত হিসেবে কাজ করছি। মানুষের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।"
কাঞ্চন জানাচ্ছেন, তাঁর প্রথম কাজ জনতা এক্সপ্রেস। যেখানে বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে হতো। তাই মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করায় তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। তিনি আরও বলছেন, "কমন রুম বলে একটি শো করতাম কলেজে কলেজে ঘুরে যুব ছাত্রদের সঙ্গে। আমি তাই মানুষের সঙ্গে ছিলাম। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে জানি।"