অতি সম্প্রতি অভিনেতা সোহেল দত্তর সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হন বনি। আর তারপর থেকেই শুরু যাবতীয় জল্পনা কল্পনা। তার যথেষ্ট কারণও আছে বটে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে থাকাকালীনই এক অভিনেতার জন্মদিনের পার্টিতে দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষও। শোনা যায় সেই সাক্ষাতেই বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রাজীব ও রুদ্রনীল।
advertisement
উল্লেখ্য আর কেউ নয়, সেই জন্মদিনের পার্টি ছিল সোহেল দত্তের। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান। পরে অবশ্য তিনি আনুস্থানিকভাবেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এমতাবস্থায় বনির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ গুঞ্জনে আরো ঘৃতাহুতি দিয়েছে। বনির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিশেষ বান্ধবী কৌশানিও দল বদলে যেতে পারেন বিজেপিতে। এই নিয়ে কানাঘুষো এখন বেশ জোরালো হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতায় কোনো একটি আসনে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হতে পারে বনিকে। গেরুয়া দলে গেলে বালিগঞ্জ থেকে কৌশানিকে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি বনি বা কৌশানি, কেউই।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন কৌশানি। সঙ্গে হবু শাশুড়িমা অর্থাৎ অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্তও যোগদান করেন তৃণমূলে। এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও গিয়েছে কৌশানিকে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই দলেই যোগ দেন অভিনেত্রী।
সেদিন ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিয়ে কৌশানি বলেছিলেন, তিনি ছোট থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। তাঁর গোটা পরিবারই নাকি তৃণমূলের সমর্থক। তাই সেই দলে যোগ দেওয়া তাঁর কাছে ভাগ্যের ব্যাপার। তাঁর কথায়, “আমার প্রথম ছবি পারব না আমি ছাড়তে তোকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমি ছাড়তে পারব না।"