গত দু’মাসে পরিস্থিতি এমন ছিল না৷ দেশের নানা প্রান্ত খুলেছিল সিনেমা হল৷ কোনও রকম আসন বাদ দিয়ে বসা নয়, একেবারে ১০০ শতাংশ অকুপেন্সি নিয়মে চলছিল হলগুলি Cinema Hall) ৷ হলমুখী হচ্ছিলেন দর্শকও৷ কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (corona second wave) ফলে অবস্থা শোচনীয়৷ সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে প্রযোজনা সংস্থাগুলি৷ একাধিক বড় ব্যানারের ছবি মুক্তি আটকে গিয়েছে৷ অমিতাভ বচ্চন-ইমরান হাশমি অভিনাত ছবি চেহরে (Chehere) মুক্তির কথা ছিল ৯ এপ্রিল৷ কিন্তু করোনার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট দিনে হলে মুক্তি পাচ্ছে না ছবি৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
স্থগিত থাকছে রানি মুখোপাধ্যায় ও সইফ আলি খান অভিনীত ছবি বান্টি অউর বাবলি ২-র (Bunty aur Bubli 2) মুক্তি৷ মুক্তির কথা ছিল ২৩ এপ্রিল৷ এছাড়াও মুক্তির অপক্ষায় রান্না দাগ্গুবতির হাতি মেরে সাথির (Hathi Mere Sathi) হিন্দি ভার্সান এখনও মুক্তির অপেক্ষায়৷ রোহিত শেট্টির বিগ বাজেটের ছবি সূর্যবংশী (Sooriyabanshi) ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ৩০ এপ্রিল৷ দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তির অপেক্ষায় অক্ষয় কুমার অভিনীত এই ছবি৷ আপাতত ছবির রিলিজ হচ্ছে বলেই খবর৷
রাতের কার্ফুর ফলে রাত আটটার পর কোথাও শো (Movie Show) রাখা যাচ্ছে না৷ তাই যে সব ছবি মুক্তি পাচ্ছেও, তাতে দর্শক সংখ্যাও বেশি হচ্ছে না৷ অর্থাৎ একদিকে ছবি মুক্তি আটকে সমস্যা, অন্যদিকে ছবি মুক্তি হলেও (সমস্যা৷ চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রযোজক ও প্রযোজনা সংস্থাগুলি৷
তবে বলিউডে এমন হাল হলেও, টলিউড (Tollywood) এখনও সেভাবে সমস্যায় পড়েনি৷ আপাতত বাংলার বাজারে সব থেকে বড় আকর্ষণ ভোটযুদ্ধ৷ কিন্তু তার মাঝেও ছবি রিলিজ হচ্ছে৷ করোনার কোপ থেকে এখনও মুক্ত রয়েছে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Bengali Film Industry)৷ সব বড় প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে যে ছবি মুক্তি নিয়ে এখনও কোনও সমস্যা নেই৷ নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তি পাবে ছবি৷ ২ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে সুরিন্দরের (Surinder) প্রযোজনায় ফ্লাইওভার (Flyover)৷ ১৫ এপ্রিল মুক্তি এসভিএফের (SVF) পাবে ট্যাঙরা ব্লুজ (Tangra Blues)৷ মুক্তির অপেক্ষায় এসকে (Eskay) প্রযোজনার অনুসন্ধান৷ এছাড়াও মুক্তি পাচ্ছে গল্পের মায়াজাল, এই আমি রাণু৷