TRENDING:

‘‘সারা বছরই বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, নিজেদের বাড়ি আমরা পরিষ্কার করব না তো কে করবে?’’: মুমতাজ

Last Updated:

নায়িকার মতে, ‘‘ ভিডিও করে বাড়ি ঝাট দিলাম, ঘর মুচ্ছি, হাত ধুচ্ছি, সেগুলো না দেখালেও চলবে।’’

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত মমতাজ সরকার। করোনা পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে বেশ কয়েক দিন আগে। লকডাউন হয়েছে, সেটারও খুব একটা কম দিন হয়নি। তবুও পরিস্থিতি আমরা সামাল দিতে পারছি না। বরং আরও খারাপ হচ্ছে অবস্থা। নায়িকা মনে করেন, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে কেমন যেন আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এর পিছনে আমাদের দোষও কিছু কম নয়, বলে দাবি মুমতাজের।
advertisement

তাঁর কথায়, ‘‘ করোনা একটা মহামারী, যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়  আইসোলেশন। কিন্তু কিছুতেই আমরা সেটা করে উঠতে পারছিনা। এই সহজ কথাটা বুঝতে না পারলে কিন্তু ক্ষতি আমাদেরই। আমরা সকলে কেন বুঝতে পারছি না, কোনও ধরনের জমায়েত তৈরি তৈরি করলে কিংবা ভিড়ের মধ্যে গেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। করোনা স্পর্শে ছড়ায়। তাই দূরে থাকা। সামাজিক দূরত্ব রাখা, এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন। এই কয়েকটা জিনিস যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলে এই ভাইরাস ছড়াবে কম। ’’

advertisement

মুমতাজ আরও বললেন, ‘‘এই ভাইরাসের বেঁচে থাকার একটা মেয়াদ আছে। সে ক'টা দিন কষ্ট করে কাটিয়ে দিতে পারলে, করোনা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। এই কথাটা আপনার সকলে নিজে বুঝুন বুঝুন এবং আশপাশের লোককে বোঝান। আমি জানি বাড়িতে থাকার অভ্যেস বাড়িতে থাকার অভ্যেস আমাদের মধ্যে অনেকেরই নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে এ ছাড়া কোন উপায় নেই নেই উপায় নেই নেই কোন উপায় নেই নেই উপায় নেই নেই।’’

advertisement

‘বাড়িতে বসে থেকে অনেকেরই হয়তো পাগল পাগল লাগছে। কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই। এটা একটা কড়া ওষুধের মতো, যেটা অসুখ করলে আমাদের খেতেই হয়। ওষুধটা যতই তেতো হোক না কেন সুস্থ হতে গেলে সেটা গিলতে সবাইকে হবে,  মনে করেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘‘ আমরা বাড়িতে থাকার ব্যাপারটা প্রচন্ড নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছি। এর কিন্তু কিন্তু। এর কিন্তু অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। আমরা কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে কতটুকু সময় কাটাতে পারি। মন খুলে কথাও হয় না। করোনা ক্ষতি করছে ঠিকই। তবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অনেকটা সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যস্ততার জীবনে শুধু পরিবার কেন, আমরা নিজেকেও সময় দিয়ে উঠতে পারি দিয়ে উঠতে পারি উঠতে পারি না। লকডাউনের এই ক'টা দিন আমাদের ভাবার সময় দিয়েছে। একটু অবসর দিয়েছে। তাই মন খারাপ না করে, বরং আমাদের পুরনো শখ গুলোকে নতুন করে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত, বলে মনে করেন মুমতাজ। তিনি আরও বললেন, ‘‘অনেকেই এরকম আছেন, যিনি হয়তো একসময় খুব ভাল গাইতেন, কিংবা ভাল নাচতেন। জীবনের চাপে সেটা করে হয়ে ওঠা হয়নি। এখন তো সুযোগ পেয়েছেন, বরং সেটা করুন। প্রিয়জনদের যত্ন নিন ও নিজের দিকে তাকান।’’

advertisement

বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে খুব একটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে না মুমতাজকে। গোটা বছরই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করেন নায়িকা ও তাঁর দিদিরা। গৃহবন্দি বলে নতুন করে কিছু করছেন না। এই প্রসঙ্গে নায়িকা বললেন, ‘‘ সারা বছরই বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়। নিজেদের বাড়ি আমরা পরিষ্কার করব না তো কে করবে? ভিডিও করে বাড়ি ঝাট দিলাম, ঘর মুচ্ছি, হাত ধুচ্ছি, সেগুলো না দেখালেও চলবে।’’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Arunima Dey

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘‘সারা বছরই বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, নিজেদের বাড়ি আমরা পরিষ্কার করব না তো কে করবে?’’: মুমতাজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল