ভাস্বর জানিয়েছেন, তাঁর ভাই নিরামিষ খান এবং করোনার কথা মাথায় রেখে সিঙ্গল রুম চেয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কিছু পাননি। নিরামিষ খাবারও মেলেনি। শেষে প্রযোজকের সাহায্যে তাঁর পাতে কয়েকটি পনিরের টুকরো পড়ে। আর সমস্যা চরমে পৌঁছয় বোলপুর থেকে ফেরার দিন। এসি কামরার টিকিট বলে রাখার পরেও স্লিপার ক্লাসের টিকিট দেওয়া হয় দেবদীপকে।
advertisement
অভিনেতা প্রোডাকশন ম্যানেজার অমিতের ছবি শেয়ার করে লিখছেন, "চিনে রাখুন ম্যানেজার অমিত। আমার ভাই দেবদীপ চট্টোপাধ্যায় বোলপুর গেছিল একটা ওয়েব এর কাজ করতে।গল্পের ওই হিরো,যাওয়ার আগে অমিতকে বলেছিল ও নিরামিষ খায় আর একটা সিঙ্গল রুম দিতে কারণ কোভিড এর সময় যতটা সেফ থাকা যায়। প্রথমদিন গিয়ে দেখে সিঙ্গল রুম তো দূর তার জন্য নিরামিষ খাবারটাও নেই।এই অতিমারীর সময় নোংরা টয়লেট হাজারবার বলেও পরিষ্কার করাতে না পারায় ভাই একদিন স্নান বাথরুম না করে না খেয়ে ছিল।"
এই সব জানতে পেরে প্রযোজক তাঁর ঘরে দেবদীপকে থাকতে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ফেরার দিনের কথা নিয়ে ভাস্বর লিখছেন, "গতকাল ছিল ফেরার পালা,অনেকবার জিজ্ঞেস করেও জানা যায় না কোন ট্রেন বা কোন ক্লাসে ফিরছে, স্টেশনে এসে জানা যায় স্লিপার ক্লাসের টিকিট। ভাই বলে কেন এসি টিকিট নেই? তাতে এই অমিত বোলপুর স্টেশনে ভাইয়ের উপরে চিৎকার করে ওঠে এবং ওর গায়ে হাত তোলে। বলে, যেতে হলে যা না হলে এখানে থাক। ভাই অবাক হয়ে বলে তুমি আমায় মারবে নাকি? তাতে অমিত বলে মারতে পারলে তো প্রথমদিনই তোকে মেরে পুতে দিতাম। ইউনিট এর একটা লোকও প্রতিবাদ করে না এবং সবাই ট্রেনে উঠে যায়।"
তখন বোলপুর স্টেশন থেকে দেবদীপ ফোন করেন প্রযোজককে। তিনি তাঁর কলকাতা ফেরার ব্যবস্থা করে দেন। ভাস্বর লিখছেন, "আমার কথা আমার ভাইয়ের যদি এই হাল হয় তাহলে নতুনরা যাদের পেছনে কেউ নেই তাদের কী হবে?অমিতের মত লোকের জন্য আজ আমরা সবাই বদনাম লোকে বলে এখানে সবাই সমান।এর প্রতিকার কী? আমার ইন্ডাস্ট্রির ওপর আস্থা আছে,আশাকরি এর বিহিত হবে আর অমিত ভবিষ্যৎ এ কারোর গায়ে হাত তোলার আগে দুবার ভাববে।" ভাস্বরের এই পোস্টে ইন্ডাস্ট্রিরই অনেকেই কমেন্ট করেন।