প্র: ইন্ডাস্ট্রির ডার্ক লং বিউটি ?
উ: (অট্টহাসি) মডেলিং দিয়ে যখন কেরিয়ার শুরু করি আমার আউটলুক নিয়ে প্রচুর কিছু শুনতে হয়েছে ৷ পরে যখন সিরিয়ালে এলাম সেখানেও বাধা পেয়েছি ৷ তবে বড় পর্দায় আসার পর কিন্তু লুক নিয়ে প্রশংসাও শুনেছি ৷
প্র: মেদিনীপুরে বড় হওয়া, কাঁথি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে হঠাৎ মডেলিং?
advertisement
উ: খুব ছোট জায়গা থেকে এসেছি ৷ সত্যি বলতে কী মডেলিং করার মতো সেই সাহসটা আমার কোনওদিনই ছিল না ৷ অস্বস্তি হত ৷ আসলে আমি অভিনয়ের লোক ৷ এটাই ভালবাসি ৷ প্রথমে এখানে এসে (কৌশিক সেনের) ‘স্বপ্নসন্ধানী’তে সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রচুর স্ট্রাগল করেছি ৷
প্র: ‘ভূমিকন্যা’ কেন ?
উ: একমাত্র কারণ অরিন্দম শীল ৷ তাছাড়া টেলিভিশনে একটা দুর্দান্ত দর্শক বেস রয়েছে ৷ অরিন্দমদা আমাকে বলেছিলেন, ‘আসছে আবার শবর’-এর চরিত্রটার থেকে গোলাপির চরিত্রটায় একটা জার্ক রয়েছে ৷ ওখানে ছিলাম হাই-প্রোফাইল এসকর্ট, শর্ট ড্রেস, হাই হিলস ৷ আর এখানে আমি একেবার গ্রাম্য একটা মেয়ে ৷
প্র: কিছুটা অলৌকিক বিষয়বস্তু, ভয় হয়নি দর্শক নেবে কী না ?
উ: দেখো টেলিভিশনে কিন্তু এরকম বিষয়বস্তু প্রায়ই দেখানো হয় ৷ দর্শকরাও সেগুলো পছন্দ করেন ৷ আর এখানে গল্পটাই তো অন্যরকম ৷ মা মনসার আসল গল্পটা তুলে ধরা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নওয়াজের সঙ্গে যৌনদৃশ্য ইন্টারনেটে ভাইরাল, মুখ খুললেন বঙ্গতনয়া ঈশিকা দে
প্র: দ্বিতীয় ছবিতেই অপর্ণা সেন, তাও আবার ‘ঘরে বাইরে’র মতো এই রকম একটা প্রজেক্টে ৷
উ: আমি সত্যিই লাকি যে বিমলা চরিত্রটার জন্য সিলেক্টেড হয়েছি ৷ এখনই এটা নিয়ে বেশি কিছু বলব না ৷ কিন্তু ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবে এই বিমলা সত্যজিৎবাবুর বিমলার থেকে একেবারে আলাদা ৷
প্র: ভয় করছে না ? এই রকম ক্লাসিক একটা ছবি... যদি স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের সঙ্গে তুলনা হয় ?
উ: একদমই না ৷ ওঁনার সঙ্গে তুলনা হওয়ার কোনও জায়গাই নেই ৷ ওঁনাকে অসম্ভব সম্মান করি ৷ উনি একজন কাল্ট হয়ে রয়ে গিয়েছেন ৷ তবে সেই বিমলা আর এই বৃন্দায় ফারাক অনেক ৷
প্র: প্রথম থেকেই নামকরা পরিচালক, বড় মাপের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ, গডফাদার কী অরিন্দম শীল ?
উ: হ্যাঁ অবশ্যই ৷ তাঁর হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ৷ তাছাড়া শবরে ওই ধরণের একটি চরিত্র, ওই রকম সিন... এটা অরিন্দমদা ছাড়া সম্ভব হত না ৷
প্র: জীবনের প্রথম চরিত্র, প্রথমেই ঘনিষ্ট দৃশ্য দিয়ে শুরু ৷ কী করে সামলে উঠলে ?
উ: অল ক্রেডিটস গোজ টু অরিন্দম দা ৷ উনি প্রত্যেকে অভিনয় করার স্পেস দেন, সিনিয়র-জুনিয়রের বিভেদটা করেন না ৷ টুলুদাকে (শুভ্রজিৎ দত্ত) আমি প্রথম মিট করেছিলাম ওই সিনে ৷ কিন্তু তারপরেও অরিন্দমদা আর টুলুদা বিষয়টাকে একদম সহজ করে দিয়েছিলেন ৷
প্র: যদি সেক্রেড গেমস-এ ইশিকা বা কুবরার চরিত্রটা পেতে ?
উ: অনুরাগ কাশ্যপের মতো ডিরেক্টর আর নওয়াজউদ্দিনের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে যে কোনও চরিত্র করতাম ৷ আর চরিত্রের প্রয়োজনে একজন অভিনেতা হিসেবে কোনও রকম দৃশ্যতেও আপত্তি থাকার কথা নয় ৷