#কলকাতা: প্রাক বিশ্বকাপ ম্যাচে সদ্য ওমানের সঙ্গে হেরে ভারতের বিদায় প্রায় নিশ্চিত । বাংলাদেশ, আফগানিস্থানের সঙ্গেও হারতে হারতে বেঁচেছে টিম সুনীল অ্যান্ড কং । অথচ একটা সময় জাপান, চীন, কোরিয়ার মত দলকেও অনায়াসে হারিয়েছে ইন্ডিয়া। তার নেপথ্যে ছিলেন আধুনিক ভারতীয় ফুটবলের আর্কিটেক্ট সৈয়দ আব্দুল রহিম। এক ভুলে যাওয়া নাম। অথচ তার কোচিংয়েই দু’দুবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল ভারত। ১৯৫৬র মেলবোর্ন অলিম্পিকসে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল সেমিফাইনালে। ফুটবলে স্বর্ণযুগের কান্ডারী তিনিই। যাকে নিয়েই অমিত শর্মার ছবি ময়দান। এই ছবির শুটিংয়ে প্রায় ১৫ বছর পর কলকাতায় অজয় দেবগন । বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতার মাঠ-ঘাটকে ঠিকানা বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। অথচ সেই রহিম সাহাবের কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করেননি অজয় । নিশ্চিত হওয়ার পর বিস্মিত হয়েছিলেন।
advertisement
অজয়ের দাবি সব জেনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরেই রাজি হয়ে যান এই চরিত্রে অভিনয় করতে। ফুটবলে প্রথম ৪-২-৪ ছক প্রয়োগ করা আবদুল রহিমের কোচিংয়েই উঠে এসেছিলেন পিকে, চুনী, বলরাম, থঙ্গরাজের মতো ভারতীয় ফুটবলের একাধিক তারকা। সম্প্রতি মহামেডান মাঠে সেই পিকে ব্যানার্জী পৌছে গিয়েছিলেন শ্যুটিংয়ে। তার সঙ্গে দেখা করা যেন ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখা এমনটাই মনে করেন অজয় ।
সিনেমায় ফুটে উঠবে সোনার ছেলেদের লড়াইয়ের কথা, তাদের হার না মানা মানসিকতার কথা। ১৯৫০ থেকে ১৯৬৩ আমৃত্যু কোচ ছিলেন রহিম সাহাব। তার মৃত্যুর পর থেকেই ফুটবল মানচিত্র থেকে ক্রমশই দূরে সরে যায় ভারত। কলকাতার মিষ্টি খেয়ে ৪ কেজি ওজন বাড়ানো রিল লাইফের রহিমের আশা ময়দানের পর রিয়াল রহিম সাহাবকে চিনবে নতুন প্রজন্ম। জানবে ভারতীয় ফুটবলের এক গৌরবময় অতীতকে। সেটাই হবে সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধার্ঘ্য।