বিখ্যাত ডিজাইনারের পাশাপাশি কপাল জোড়া টিপ, মুখের চওড়া হাসি এবং সুন্দর কথা দিয়েই শর্বরী দত্তের স্মৃতিচারণ করলেন ঋতু৷ তিনি বলেন, সব কিছুর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেতেন শর্বরীদি এবং আমার বহু ছবিরই অদ্ভুত সুন্দর ব্যাখ্যা করতেন তিনি৷ এতেই বোঝা যায় যে, শর্বরী দত্তের শৈল্পিক চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র তাঁর ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না৷ সব শিল্প মাধ্যমের মধ্যেই গভীরতা খুঁজতেন শর্বরী দত্ত৷
advertisement
আরও পড়ুন বাথরুমের শিঁড়িতে জমাট রক্ত, বেডরুমের কার্পেটে শর্বরীর দেহ ছিল রাখা, পুলিশের বয়ানে...
তবে শর্বরী দত্তের সঙ্গে একটা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে ঋতুপর্ণার৷ সেটাও জানালেন অভিনেত্রী৷ তিনি বলেন যে, আমার বিয়ের এবং বৌভাতে সঞ্জয়ের পাঞ্জাবি ডিজাইন করেছিলেন শর্বরীদি৷ সেই শৌখিন কাজের জুড়ি মেলা ভার, কান্না ভেজা গলায় বললেন ঋতু৷ তাঁর স্বামী সঞ্জয় এখনও সেই পাঞ্জাবি সজত্নে রেখে দিয়েছেন এবং বিশেষ পোশাকটি তাঁরও খুব পছন্দের বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী৷
বৃহস্পতিবার রাত ১১-৩০ নাগাদ বাথরুম থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কড়েয়া থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়িতেই আসেন পারিবারিক বন্ধু অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্য্য।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে দেহ ঘরে আনা হয়। রাত ২-২০ নাগাদ কড়েয়া থানার ওসি আসেন। ৩টে নাগাদ আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ভোর ৪ টে নাগাদ দেহ ময়না তদন্তের জন্য এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত্যুর খবর পেয়ে বিখ্যাত ডিজাইনারের ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে যায় কড়েয়া থানা ও লাল বাজারের পুলিশ৷ তখন শর্বরী দত্তের দেহ রাখা ছিল তাঁর বেডরুমের কার্পেটে৷ তাঁর শৌচাগারের প্রবেশ পথটি ছিল একটি নীচু৷ একটি শিঁড়ির ধাপ নেমে যেতে হত৷ সেখানেই সম্ভবত তিনি পিছলে পড়েন৷
Debopriya Dutta Majumdar
