গা ছমছম এই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে প্রীতি নামের এক তরুণী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে, যিনি কাজের সূত্রে কলকাতা থেকে চন্দনপুরে এসে পৌঁছান। থাকার জায়গা না পেয়ে মায়ের পরামর্শে ফিরে যান তাঁর দাদু-দিদার পুরনো বাড়িতে। সেখান থেকেই শুরু হয় একের পর এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। কখনও দেখা যায় খাবারের টেবিলে সাজানো রয়েছে আমিষ, কখনও আবার কেবল ভাত–ডাল। এক সময় প্রীতি আটকে পড়ে সেই বাড়ির ভেতরে, আর সময় যেন তাকে টেনে নিয়ে যায় এক বন্ধ ঘরের অজানা অন্ধকারে।
advertisement
ছবির পরিচালক বলেন, ‘আমিষ আমার কাছে ভয়ের গল্প নয়, বরং অপরাধবোধ আর শ্রেণীভেদের গল্প। প্রীতির চরিত্র আসলে আমাদের সবার ভেতরের মুখ—দিনে নিরামিষ অথচ রাতে দিদার সাজানো আমিষ থালা। এই দ্বৈততার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে আমাদের ফেলে আসা পাপ।’
প্রযোজক গৌরব তপাদার জানান, ‘আমিষ আমার এক নতুন জন্ম, নতুন স্বপ্নের শুরুর দরজা। প্রেতকথার অভিজ্ঞতা থেকেই গল্পের বীজ, আর অরুণাভ খাসনবিশের সাহসেই তা পরিণত হয়েছে চলচ্চিত্রে। ‘অভিনেত্রী প্রীতিও নিজের চরিত্র নিয়ে ভীষণ উৎসাহী। তাঁর কথায়, ‘এই ছবির কিছু দৃশ্য সত্যিই দর্শকদের শিহরিত করবে। ডাবিং করার সময়ও কয়েকবার আমি নিজেই চমকে চিৎকার করে উঠেছি!’
‘আমিষ’ দর্শকদের ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দিতে চায় না, বরং ভাবিয়ে তুলতে চায়—আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে কি কোনও দরজাহীন ঘর আছে, যেখানে আটকে আছে আমাদের অতীতের ভুল?