অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় পেশায় অভিনেতা। দেবাঞ্জন বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, "গত সোমবার তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার আইরিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সংকটজনক রূপ নেয়। তবে মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি হবে তাঁরা ভাবতে পারেননি। কারণ গতকাল তিনি তাঁর মাকে হাসপাতালে দেখে আসেন আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৫টা হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। বলা হয় তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছলে ৫.২৫ নাগাদ অফিসিয়ালি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনন্যা চট্টোপাধ্যায় কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের ব্যবহারেও খানিকটা অসন্তুষ্ট তাঁর পরিবার। কারণ, তাঁরা কাল রাতেও কিছু জানাননি"। মৃত্যুর পর তার মরদেহ তার বাড়িতে আনা হয় এবং আজ দুপুরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নয়া রূপে বিগ-বি! সিনেমায় সঙ্গীত সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ অমিতাভের
টালিগঞ্জের অনেক শিল্পী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের এভাবে চলে যাওয়াতে হতবাক এবং তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছু অভিনয় করেছেন, তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সীমারেখা ধারাবাহিকটি। অনন্যা চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়াতে তিনিও মর্মাহত হন।
আরও পড়ুন: ‘বাবা কোথাও হাসবেন’! জন্মদিন পালনে কেকের মেয়ে তামারার প্রথম লাইভ গান, সঙ্গে ছিলেন শান
খুব ছোট বয়স থেকে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। চারমূর্তি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। তিনি সত্তরের শেষের দিকে শুরু করে আজ অবধি বড় পর্দা ছোট পর্দা মিলিয়ে প্রায় ৪৫ বছরের তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ার।
অনন্যা চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত হাসিখুশি এবং ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর প্রোডাকশন ইউনিট থেকে শুরু করে তাঁর সহশিল্পী সকলের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। দুটি ধারাবাহিকে তিনি কাজ করছিলেন সেই সমস্ত ইউনিটের সদস্যরা এবং টলিউডের অনেকেই এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না।