সারা বিশ্বেই সফল চলচ্চিত্রের পিছনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকে লেখকদেরই। কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে লেখকরা সেই স্তরের সম্মানটা পান না। তবে সেই ধারণা একেবারে চুরমার করে দেন সেলিম-জাভেদ জুটি। রীতিমতো ইন্ডাস্ট্রিতে আমূল বিপ্লব এনে দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী তৎকালীন প্রথম সারির তারকাদের তুলনায় তাঁরা আরও বেশি পারিশ্রমিক দাবি করতেন। ধীরে ধীরে সেলিম-জাভেদ জুটি ‘তারকা’ তকমা পেয়েছিলেন।
advertisement
সত্তরের দশকের শেষের দিকে সাফল্যের শিখরে চড়ে বসেছিলেন সেলিম-জাভেদ জুটি। উপহার দিয়েছেন অবিস্মরণীয় কিছু ছবি- ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’, ‘জঞ্জির’, ‘দিওয়ার’ এবং ‘শোলে’। ‘অ্যাংরি ইয়ং মেন’ ট্রেলার থেকে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের খ্যাতির উচ্চতা। জানা যায় যে, সেই সময় সেলিম-জাভেদ জুটি প্রতিটা ছবির জন্য ২১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। যা তৎকালীন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া তারকা অমিতাভ বচ্চনের থেকে অনেকটাই বেশি। কারণ ওই সময় অমিতাভ নিতেন ২০ লক্ষ টাকা। তবে রাজেশ খান্না কিংবা শত্রুঘ্ন সিনহার মতো তারকারা সেই তুলনায় বেশ কমই পারিশ্রমিক নিতেন। ওই তথ্যচিত্রে করণ জোহর বলেন, “যদি এখন একজন লেখক সলমন খানের থেকেও এক কোটি টাকা বেশি পারিশ্রমিক নেন, বিষয়টা কল্পনা করতে পারছেন? এটাই ছিল সেলিম-জাভেদ জুটির ক্ষমতা।”
আরও পড়ুন: সলমনের ছবিতেই শেষ গান! ৯ বছর পর বলিউডে ফিরছেন জনপ্রিয় এই গায়ক, কে তিনি জানেন
আরও পড়ুন: ‘ঐশ্বর্য আমার মেয়ে নয়…’! পুত্রবধূকে নিয়ে বিস্ফোরক জয়া! ‘অশান্তি’র জন্য দায়ী কে
ডক্যু-সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, সলমন খান, ফারহান আখতার, আমির খান, হৃতিক রোশন, করণ জোহর-সহ একাধিক কিংবদন্তি বলিউড তারকার সাক্ষাৎকারও। এমনকী এই ডক্যু-সিরিজে উঠে এসেছে সেলিম-জাভেদ জুটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টাও।
ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে এই সফরের স্মৃতিচারণ করে সেলিম খান বলেন, “ক্যামেরার সামনে আমি আমার কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। কিন্তু গল্প বলাতেই আমার আসল আগ্রহ লুকিয়ে ছিল। জাভেদ আর আমার দু’জনেরই লেখার প্রতি ঝোঁক ছিল। তাই একসঙ্গে কাজ শুরু করি। ফলে ইন্ডাস্ট্রির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ কিছু তৈরি করেছি। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত যে, আমাদের এই সফর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডকুমেন্ট করা হচ্ছে। আমি আশা করি যে, আমাদের এই গল্প সকলকে অনুপ্রেরণা জোগাবে, যাতে তাঁরা নির্ভীক ভাবে নিজেদের পছন্দের বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।”