১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘শোলে’। বাকিটা ইতিহাস। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে নতুন করে রিলিজ করা হয়েছিল ‘শোলে’। প্রেক্ষাগৃহে হাততালির ঝড়, স্ট্যান্ডিং ওভেশন, বাদ যায়নি কিছুই। অনেকেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন। ‘শোলে’ এমনই।
কোনও খলনায়ককেই দর্শক বোধহয় এতটা আপন করে নেয়নি যেভাবে গব্বর সিংকে নিয়েছে। নির্মম এক ডাকাত। কিন্তু কী তার জনপ্রিয়তা! আর সে রকমই সংলাপ। “এখান থেকে পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ক্রোশ দূরে যখন কোন বাচ্চা রাতে কেঁদে ওঠে, তখন মা বলে, ‘বেটা, ঘুমিয়ে পড়, না হলে গব্বর চলে আসবে”, কে ভুলতে পারে!
advertisement
মুক্তির আগে ‘শোলে’র অনেক দৃশ্যেই কাঁচি চালিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। যুক্তি ছিল, এই সব দৃশ্যে না কি অতিরিক্ত হিংস্রতা দেখানো হয়েছে। এতদিন পর সেরকমই বাদ পড়া একটি দৃশ্য সামনে এল। ছবির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে গব্বর সিংয়ের নির্মমতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন তা ভাইরাল।
‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, রামগড়ে গব্বরের ডেরা। পিছনে পাহাড়, বড় বড় ঢিপি। তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাম্বা সহ ডাকাত দল। একদৃষ্টে চেয়ে আছে সর্দার গব্বর সিংয়ের দিকে। গব্বর হাঁটু মুড়ে বসে। সচিন পিলগাঁওকর অভিনীত আহমেদ উপুর হয়ে মাটিতে শুয়ে। বাম হাতে তাঁর চুল ধরে পিছনে টানছে গব্বর। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহমেদ। সামনে আগুন জ্বলছিল। এখন শুধু ছাই। পাশে ছোট বিছানা, বালিশ। গব্বরের বিশ্রামের জায়গা।
অত্যধিক হিংসা দেখানো হয়েছে বলে এই দৃশ্যটি সেন্সর বোর্ড বাদ দিয়েছিল। তবে গব্বরের চরিত্রের সঙ্গে এই দৃশ্য বেশ মানানসই। ভাইরাল পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। ‘মিসিং লিঙ্ক’ খোঁজার চেষ্টাও করেছেন কেউ কেউ। একজন ইউজার লিখেছেন, “’শোলে’-তে আহমেদকে অপহরণের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এটা বোধহয় তার মাঝের ঘটনা। এটাই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।”অনেক ইউজারই তাঁর সঙ্গে একমত। আসলে গব্বরের চরিত্রের নিষ্ঠুরতা ফুটিয়ে তুলতে এমন বেশ কিছু দৃশ্য ছিল। তবে বেশিরভাগই সেন্সর বোর্ড বাদ দিয়ে দেয়। ইতিহাস ঢুঁড়ে সেই সব দৃশ্য তুলে আনছেন সিনেপ্রেমীরা। চমকে উঠছে আমজনতা। এই দৃশ্য তারই এক ঝলক।