আজ এই ছবি কান চলচ্চিত্র উৎসবে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, 'চলো কিছু করা যাক', এভাবেই শুরু হয়েছিল এই ছবির যাত্রা। নিউজ ১৮ বাংলাকে পরিচালক অনীক চৌধুরী বলছেন, "অভিনেতা পবন চোপড়া হঠাৎ একদিন বললেন, 'চল কুছ করতে হ্যায়'। এই মহামারী পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রায় সবাই মানসিক ভাবে ক্লান্ত ছিলাম। সবার একটা বিরতি দরকার ছিল।" এভাবেই এই ছবির সূচনা।
advertisement
তবে এটি একটি ফিচার ছবি হবে, এমন ভাবেননি অনীক। কলকাতাতেই ছবির শ্যুটিং হয় প্রথমে। প্রথমে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি হিসেবেই শ্যুটিং শুরু হয়। তার পরে ছবির দৈর্ঘ্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিচালক। ছবিতে উঠে এসেছে এক বিপত্নীক বাবার কথা যিনি উভকামী। আর তার মেয়ে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে নিজের মেয়েকে শারীরিক ভাবে সারিয়ে তুলতে, শয্যাশায়ী মেয়ের ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করতে এক বাবার জীবন যুদ্ধ দেখা যাবে এই ছবিতে। এই গল্প হয়তো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির অধিকাংশ ঘরেই লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষের কথা উঠে এসেছে এই ছবিতে।
ছবি কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ছবির কলাকুশলী খুবই আনন্দিত। তবে অনীকের কথায়, "অবশ্যই ভাল লাগছে। তবে আমি ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। কীভাবে আরও মানুষের কাছে ছবিটা পৌঁছে দেওয়া যায় সেটা নিয়েই ভাবছি। কানের থেকে বড় মঞ্চ কিছু হয় না। তাই গোটা টিমই খুব এক্সাইটেড। তবে এমনিতেই শান্ত প্রকৃতির এসব ব্যাপারে। সেই অভিব্যক্তি নেই। এখন ভাবছি এর পরে কী? পরের ছবিগুলি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।"
আরও পড়ুন- পল্লবীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর জট! পরিচারিকার বয়ানই কি এবার বিশেষ রূপ নেবে?
ছবিটিতে পবন চোপড়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন উষা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা মেয়ের ভূমিকায় এঁদেরই দেখা যাবে। বৃদ্ধ বাবার চরিত্রটি অভিনেতার। ক্রিসমাসে সেই বাবা সান্টা ক্লজ রূপে মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করবে।