এই পার্টে মনোজ বাজপেয়ি, শারিব হাসমি, প্রিয়ামণির সঙ্গে এবার চর্চায় ছিলেন সাউথের অভিনেত্রী সামান্থা আক্কিনেনি। এই সিরিজে তিনি সব থেকে উল্ল্যেখযোগ্য চরিত্র। গল্পের কেন্দ্র বিন্দু। চাপা রঙের বাগি কমান্ডোর অভিনয় চোখে মন ভরিয়ে দেবে। একদিকে যেমন তাঁর জন্য উদ্বেগ তৈরি হবে। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়াবে দেশের চিন্তা। কি করে ফের দেশকে রক্ষা করেন মনোজ সেটাই দেখার। সেই সঙ্গে শ্রীকান্তের পরিবার তো রয়েছেই।
advertisement
এই সিরিজের শুরুতেই দেখা যাবে শ্রীকান্ত টাস্কের চাকরি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন, আইটি কোম্পানিতে। বয়সে ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এই কাজ করতে সে নাজেহাল। কিন্তু টাস্কে ফিরবে না শ্রীকান্ত। কারণ প্রথম পার্টের মৃত্যুর দাগ লেগে আছে তাঁর গায়ে। অভিমানে টাস্ক ছেড়েছে সে। কিন্তু কিছুতেই নিজেকে দূরে রাখতে পারছে না দেশের চিন্তা থেকে।
প্রথম সিজনের শেষটা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। যে গ্যাস কাণ্ড দেখানো হয়েছিল শেষ দৃশ্যে, তা তো দিল্লিতে হয়নি। ভোপালের গ্যাস লিক ছাড়া তো এ ঘটনা নেই। তবে কি করে প্রথম পার্ট শেষ করা হয়েছিল গ্যাস অ্যাটাক দিয়ে, তা নিয়ে চর্চা ছিল। খুবই হতাশ করেছিল শেষ পার্ট। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ছিল, কি হল দিল্লি গ্যাস কাণ্ডে? সত্যিই কি সফল হয় সেই গ্যাস অ্যাটাক? যদি হয় তাহলে যুক্তি কি? তবে দ্বিতীয় পার্টে এসে আপনি পাবেন এই প্রশ্নের উত্তর। যা আপনাকে স্বস্তি দেবে। এমন কিছুই দেখানো হবে না, যা ঘটেনি। গ্যাস অ্যাটাক কিভাবে আটকানো হয় তা ফিরে আসবে প্রথম এপিসোডেই।
তবে এই সিরিজে নতুন চর্চার বিষয় হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বাসু। চরিত্রে অভিনয় করেছেন সীমা বিশ্বাস। বাসুর সঙ্গে অনেকেই তুলনা টেনেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। অনেকটা সেই আদলেই গড়া হয়েছে বাসুর চরিত্র। তবে কি প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়েও কিছু তথ্য আছে টাস্কের কাছে? যা আগে থেকেই এই সিরিজে তুলে ধরা হল? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে বাস্তবের সঙ্গে এই চরিত্রের কোনও মিল নেই তা আগেই জানানো হয়েছে। সবটাই কল্পিত। কিন্তু চর্চা থামার নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে এই বিষয়।
প্রথম পার্টের থেকে দ্বিতীয় সিরিজে মনোজ বাজপেয়ি থেকে সকলের অভিনয় আরও পোক্ত হয়েছে। এবং গল্পের বুনন প্রথমবারের থেকেও চমকদার। 'জুলফিকর' কি শেষ? কোথায় গেল সাজিদ? এটাই এই সিরিজের প্রধান রহস্য। আর তা জানতে হলে সিরিজ অবশ্যই দেখতে হবে। জুলফিকরে আছে নতুন টুইস্ট।