'নাটু' অর্থাৎ 'নাচ'। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ভিনদেশীদের সামনে রাম (রামচরণ) এবং ভীম (জুনিয়র এনটিআর) তাদের দেশীয় নাচের ঝলক দেখাতে নেমেছিল। আর তাতেই হয়ে গেল বাজিমাত। দুই ভারতীয়র এনার্জির সামনে ব্যর্থ ব্রিটিশরা। গল্পে এই দৃশ্যায়ন দেখানো হয়েছিল 'নাটু নাটু' গানে। আর তার জন্য কোরিওগ্রাফারের কৃতিত্ব অপরিসীম। যা কল্পনা করা যায় না, তাই ঘটিয়ে ফেলেছেন তাঁরা ওই কঠিন নাচের জন্য।
advertisement
প্রতিটি ছন্দে পা মিলেছে প্রত্যেকের। অত তীব্র গতিতে পা মেলানো যে সহজ নয়, তা দেখলেই স্পষ্ট। সেই প্রসঙ্গে ছবির অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর জানিয়েছেন, রাজামৌলি এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত খুঁতখুঁতে ছিলেন। প্রত্যেকের পা যেন একই তালে পড়ে, তাতে জোর দিয়েছেন পরিচালক।
এনটিআর-এর কথায় জানা যায়, শ্যুটিংয়ের সময়ে প্রতিটি শট রেকর্ড করেছেন নিজে। প্রত্যেক শটের পর শ্যুট থামিয়ে মন দিয়ে দেখেছেন রাজামৌলি, কোথাও যদি মনে হত, পা বা হাত মেলেনি এক চিলতে, অমনি আবার গোটাটা শ্যুট হত। ওই রকম হাই-এনার্জির একটি গান ১৮তম টেকের পর মুখে হাসি ফোটে রাজামৌলির।
শ্যুটের আগে ৩০ দিন এই নাচটির অনুশীলন করা হয়েছে। ২০ দিন ধরে শ্যুটিং হয়েছে। কলাকুশলীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার। সিগনেচার স্টেপ হিসেবে তৈরি হয়েছিল ১১০টি, যার মধ্যে অনুমোদন পায় মাত্র ৩টি। ৬০ দিন ধরে কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে। ১৮টি রিটেক। তার পরেই এই গানের ভিডিও ইউটিউবে ভিউয়ার পেয়েছে ১১১ মিলিয়ন।
আরও পড়ুন: 'আরআরআর' এর জয়ে আপ্লুত! 'নাটু নাটু'র হুকস্টেপে পা মেলালেন রাজামৌলি ও কিরাবাণী
গানটি সম্পর্কে সুরকার এম এম কিরাভানি বলেন, "আমরা ৬-৮ ছন্দে গানটা বানিয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম এই গানের মধ্যে দিয়ে শারীরিক দক্ষতা এবং এনার্জি ফুটিয়ে তুলতে। যেই ছন্দে বানানো হয়েছে, তা খুব একটা সহজ নয়। আর পশ্চিমী দেশে এই ৬-৮ ছন্দে গান বেশি শোনা যায় না। আমার ধারণা, সেটাই ওদের আরও বেশি আকর্ষণ করেছে।" মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনিও এই পুরস্কারটি হাতে পান গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে।
গানের কথা লিখেছেন চন্দ্রবোস, নাচের কোরিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন প্রেম রক্ষিত, গানের কারুকার্য রাহুল সিপলিগঞ্জ এবং কালা ভৈরব।