মরাঠা যোদ্ধা তানাজি মালুসারের জীবন কাহিনির উপর ভিত্তি করে এই ছবি তৈরি করেছেন ওম। অষ্টাদশ শতকের প্রেক্ষাপটে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। তানাজি সে সময়ে মুগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবল থেকে ফের কোন্ধানা দুর্গ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শুরুতে ছবির নাম ছিল 'তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র'। পরে তা বদলে করা হয় 'তানহাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র'।
advertisement
ছবিতে অজয় ছাড়াও অভিনয় করেছেন সইফ আলি খান, কাজল, নেহা শর্মা, শরদ কেলকার, লিউক কেনি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নায়িকা হিসেবে প্রথম ছবির ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কার, নিউজ18 বাংলার কাছে জেনে আত্মহারা দিতিপ্রিয়া
পরিচালক ওম বললেন, "এই ছবিটা আমার মনের খুব কাছাকাছি। খুব ভালবেসে এই ছবিটা বানিয়েছি। ছবিটা তৈরি করার সময় অজয় স্যারের আন্তরিক সমর্থন ছিল। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার পাশিপাশি তিনি প্রযোজনার দায়িত্বও নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। আমি অজয় স্যারকে অভিনন্দন জানাতে চাই চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার জেতার জন্য। তিনি সত্যিই তানহাজির চরিত্রটাকে প্রাণ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। সইফ স্যারও উল্লেখযোগ্য এখানে। উনি ছাড়া ছবি বানাতে পারতাম না।"
নচিকেত বারভে এবং মহেশ শেরলা এই ছবির জন্য সেরা কস্টিউম ডিজাইনারের পুরস্কার জিতেছেন। পরিচালক তাঁদের কথাও উল্লেখ করলেন৷
আরও পড়ুন: দিতিপ্রিয়ার প্রথম ছবির ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কার, সেরা বাংলা ছবি শুভ্রজিতের 'অভিযাত্রিক'
ওমের কথায়, "চলচ্চিত্র এমনই এক শিল্প, যা এক জন মানুষের পক্ষে সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। 'ওয়ান ম্যান শো' নয়। গোটা টিমের প্রচেষ্টা, কলাকুশলীদের প্রতিটি প্রকল্পের স্তম্ভ এটি। এই পুরস্কার আসলে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যাঁরা তানহাজিতে কাজ করেছেন। তাঁরা সকলেই আমার জন্য সমান।"
ব্যবসার দিক থেকেও সফল এই ছবি। পাশাপাশি জাতীয় সম্মানও পেল। সব মিলিয়ে আনন্দে আত্মহারা পরিচালক।