চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মসন্দের চ্যাট শো-তে এসে ২০১৪ সালে নিজের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন সুস্মিতা। তাঁর কথায়, ‘‘সবে বাংলা ছবি ‘নির্বাক’-এর শ্যুট শেষ করেছি, তার পরেই ভয়ানক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। মাঝে মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতাম। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আমায়। কী হয়েছিল কেউ বুঝতে পারছিল না। তার পর একাধিক পরীক্ষা করে জানা যায়, আমার অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা শুরু হয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত সুস্মিতা! জটিল অস্ত্রোপচার বিশ্বসুন্দরীর, এখন কেমন আছেন
এর পরেই তাঁকে স্টেরয়েডের উপর নির্ভর করতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর তিনি স্টেরয়েড নিতেন। নয়তো শরীর কাজ করত না। কিন্তু এই ওষুধের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। হাড়ে ক্ষমতা কমে আসে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডন, জার্মানিতে গিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। সেই সময়ে সিন্যাকথেন টেস্ট করানোর পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে সারা জীবন স্টেরয়েড নিতে হবে। নয়তো হরমোনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না তিনি। এর পর তিনি আবু ধাবিতে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্টেরয়েড বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর দেখা যায়, তাঁর শরীর নিজে নিজেই অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে আবার কার্টিসল তৈরি করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: অরিজিতের কনসার্টে কমল হাজার হাজার দর্শকাসন! শিলিগুড়ির শো-এর টিকিট পাবেন কোথায়
এই সুখবর পাওয়ার পর তিনি স্টেরয়েড ছেড়ে দেন ঠিকই। কিন্তু ভয়ানক কড়া সেই ওষুধ ছাড়তে খুবই কষ্ট হয়েছিল সুস্মিতার। তার পরের দু’বছর ধরে তিনি স্টেরয়েড ছাড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। উইড্রয়ালের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছিল শরীরে।
তার পর সদ্যই জানা গেল, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই শারীরিক অসুস্থতার কারণেই কি এবারের এই হার্ট অ্যাটাক? কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি?