বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুকেশকে প্রতারক হিসেবে বর্ণনা করা একেবারেই সঠিক নয়। কারণ, তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি। এরই সঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন সুকেশ। এবং সেই সম্পর্কের সঙ্গে এই প্রতারণা মামলার কোনও যোগ নেই। ইডির কাছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার তুলে নেওয়ার অনুরোধ করার পরই সুকেশ এদিন এমন দাবি করেছেন। যদিও জ্যাকলিনের আর্জি খারিজ করেছে ইডি। দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না নায়িকা।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্যাকলিনকে নাকি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো দেখতে! নায়িকাকে মুগ্ধ করতে কী কী করেছিলেন প্রতারক সুকেশ
কয়েকদিন আগে এই কারণেই সলমান খান আয়োজিত রিয়াধে দামাং ট্যুর থেকেও নাম সরাতে হয়েছিল জ্যাকলিনকে। এই কেস চলাকালীন জ্যাকলিন দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না বলেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর এই নোটিস জারি করে ইডি। মুম্বই বিমানবন্দরে সঙ্গে সঙ্গেই ওইদিন আটকানো হয় জ্যাকলিনকে। মাস্কট যাচ্ছিলেন জ্যাকলিন, তাঁকে বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় জেরার জন্যে।
আরও পড়ুন: লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে জ্যাকলিনকে হলিউড ছবির প্রতিশ্রুতি দেন প্রতারক চন্দ্রশেখর!
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, দামি উপহারে দুই অভিনেত্রীকে ভরিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত সুকেশ। উপহারের তালিকায় বাদ ছিল না ব্র্যান্ডেড গাড়িও। দাখিল করা চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জ্যাকলিনের মেক-আপ আর্টিস্ট শান মুত্তাতিলের মাধ্যমেই অভিনেত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় সুকেশের। অগাস্ট এবং অক্টোবরে রেকর্ড করা তাঁর বয়ানে জ্যাকলিন জানিয়েছেন, তিনি সুকেশের কাছ থেকে কিছু উপহার পেয়েছিলেন। তালিকায় ছিল নামীদামি ডিজাইনার ব্র্যান্ড 'গুচ্চি' আর 'শ্যানেল'-এর দুটো ব্যাগ, দুটো গুচ্চির জিমওয়্যার, হীরের দুল, তিনটে ব্রেসলেট। তিনি এও জানান, সুকেশ তাঁকে একটি মিনি কুপার-এর গাড়ি দিয়েছিল বটে, কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন।