ফাদার্স ডে-তে তিনি ফিরে গিয়েছেন শৈশবে ৷ তাঁর কথায়, তিনি ছোটবেলাতেই বুঝতে পেরেছিলেন বাবার উপার্জন সীমিত ৷ সংসারের সব আর্থিক দায়িত্ব ছিল বাবার কাঁধেই ৷ কিন্তু বাবাকে কোনওদিন ক্লান্ত হতে দেখেননি ৷ তাঁদেরও চাহিদা ছিল সামান্য ৷ অল্পেই খুশি হওয়ার অভ্যাস ছিল সহজাত ৷ তাই সুদীপ্তা এবং তাঁর দাদা সপ্তাহে এক দিন মাংসভাত পেলেই খুশি হতেন ৷ দু’ তিন বছরে এক বার কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে গেলেই হাসি ফুটত মুখে ৷ নতুন পোশাকের মেয়াদও ছিল বছরে দু’বার ৷ এই ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে তাঁদের ছোটবেলা ৷
advertisement
‘গ্রামের রানি বীণাপাণি’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা ‘সংযুক্তা’-র আক্ষেপ, তাঁদের চারজনের ছোট্ট সংসারের অভাবে পাশে পাননি পরিজনদের ৷ মামাবাড়ি থেকে কিঞ্চিৎ স্নেহ পেয়েছেন বটে, কিন্তু প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের একাই ৷
কিন্তু জেঠুদের পরিবারের তরফে উড়ে আসা অবহেলা আর তাচ্ছিল্য এখনও তাড়া করে বেড়ায় অভিনেত্রীকে ৷ মনে পড়ে, তাঁর এক জেঠুর কথায় আপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরে বাবা হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন ৷ মায়ের চাপা কষ্ট, চোখের কোণে জল—ভুলতে পারেন না অভিনেত্রী ৷ আজ, জীবনের এই পর্বে দাঁড়িয়ে সুদীপ্তার অনুভূতি, তিনি সফল হতে পেরেছেন কিনা, বাবা মাকে ভাল রাখতে পেরেছেন কিনা জানেন না, কিন্তু এই টুকু অন্তত জানেন কোনওদিন কারও কাছ থেকে হাত পেতে কিছু নেননি ৷
‘সাত ভাই চম্পা’ ধারাবাহিকে মণিমল্লিকা চরিত্রে খলনায়িকা সুদীপা ছিলেন দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ ৷ পিতৃদিবসের বার্তার শেষে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘বাবা....আমি জানি তোমার ভালোবাসা আমি...তোমার ভরসা আমি...বাবা আমরা তোমার মত একজন সৎ মানুষ হতে পেরেছি ৷’’ প্রত্যয়ী সুদীপ্তা নিশ্চিত, জীবনযুদ্ধে তাঁরা জয়ী হবেনই ৷