এই ছবিতে নায়িকার জন্য শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হওয়ার পরেও কাজ করতে পারেননি রাজ ঘরনি। কারণ তার পরেই অভিনেত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর আসে। পরিচালক ও নায়িকা যৌথ সিদ্ধান্ত, পরের ছবিতে একসঙ্গে কাজ করবেন। এখন শুভশ্রীর বিশ্রামের প্রয়োজন। দ্বিতীয় সন্তানের জন্য অভিনেত্রী ও রাজ চক্রবর্তীকে অভিনন্দন জানালেন সৃজিত।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নায়িকা, ছবি শুরুর আগেই মাথায় হাত সৃজিতের? শুভশ্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক
advertisement
তার পরেই শুরু নায়িকার জন্য দ্বিতীয় বার খোঁজ। অনেকের সঙ্গে কথাও বলা হয়। কিন্তু শেষমেশ একমাত্র জয়াকেই চিত্রনাট্য পাঠানো হয়েছে। তবে জয়া আহসানকে বেছে নেওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে পরিচালকের। সৃজিত বললেন, ‘‘প্রথমত, শ্যুটে সময় দিতে পারছে জয়া। ডেট অ্যাভেইলেবল আছে। দ্বিতীয়ত, অভিনয় দক্ষতা। তৃতীয়ত, শেষ বছরের পারফর্মেন্স। আমরা যদি ওর কেরিয়ারগ্রাফ দেখি, ‘রবিবার’ হোক বা ‘বিনিসুতোয়’, বা ‘অর্ধাঙ্গিনী’ তাঁর কাজ অসম্ভব প্রশংসিত হয়েছে। চতুর্থত, অতীতে সফল কোল্যাবোরেশনের ইতিহাস আছে। ‘রাজকাহিনি’ হোক এবং ‘এক যে ছিল রাজা’। এসব বিচার করেই জয়াকে বেছে নেওয়া।’’
আরও পড়ুন: শ্যুটে দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি ভাঙার পরেই বুকে ব্যথা সৃজিতের! হার্ট চেকআপের পর কী জানালেন পরিচালক
কিন্তু জয়া কেন প্রথম পছন্দ ছিলেন না সৃজিতের? নিউজ18 বাংলাকে পরিচালক জানালেন, তাঁর কথায়, ‘‘শুভশ্রী ছাড়া এই চরিত্রটি আর কেউ করতে পারত না, তা নয়। শুভশ্রীর সঙ্গে এর আগে একবারও কাজ করা হয়নি আমার। ‘পরিণীতা’ বা ‘ইন্দুবালা’-এ অপূর্ব অভিনয় করেছে শুভশ্রী। তাই একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু অতীতে কাজ করার সময়ে জয়ার সঙ্গে সৃজিতের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন রটেছিল। সেই কারণেই কি জয়াকে প্রথমে চরিত্রের জন্য ভাবেননি সৃজিত? প্রশ্নের উত্তরে সৃজিত বলেন, ‘‘না না এসব মাথাতেই ছিল না। আর এবার কাজ করার পরেও হয়তো আমাদের নিয়ে গুজব শুনতে হবে। অক্যুপেশনাল হ্যাজার্ড হিসেবেই গ্রহণ করতে হয়। এতে কিছু করার নেই। গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। না হলে এই পেশায় টিকে থাকা যাবে না।’’