ওঁদের যৌথ একটি কাজ ‘হৃদয়ের এ কূল ও কূল’, ‘ক্ষেপা তুই না জেনে’ সম্প্রতি আসতে চলেছে ডিজিটাল মাধ্যমে। আগেও এই গান একাধিক মানুষের গলায় শোনা গিয়েছে। কিন্তু এই কাজটির গায়কী এবং পরিবেশনা অভিনবত্বই কাজটি বাকিদের চেয়ে ভিন্ন করে। গানটির অনবদ্য সঙ্গীতায়োজন করেছেন টুনাই দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং রেকর্ডিং হয়েছে স্টুডিও ভাইব্রেশনে গৌতম বসুর তত্ত্বাবধানে৷ মিক্সিং মাস্টারিং করেছেন বব ফুকান (চেন্নাই)।
advertisement
গানটির দৃশ্যায়নটিও বড় সুন্দর। কিছু দৃশ্য ইনডোর হলেও বাকিটায় দেখা যাবে বীরভূমের শান্তিনিকেতন এবং জয়দেবকে। একদিকে কোপাই আর অন্যদিকে অজয় যেন এই গানের দু’টি হৃদয়ের দুই কূল, যার একদিকে লালন আর অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ। আবার এও বলা যায় এই নদী পার করেই প্রবীণের নবীনকে সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়া। দৃশ্যায়নটির ভাবনায় রয়েছে জয়া নাগ এবং টুনাই দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। দৃশ্যায়ন পরিচালনায় জয়া নাগ৷
শ্রাবণী সেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়কী পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়াসে ব্রতী। তাঁর নিজস্ব সংগীত শিক্ষায়তন রয়েছে। যেখানে তিনি প্রতিদিন বহু ছাত্রছাত্রীকে তালিম দিয়ে চলেছেন। পারিবারিক সূত্রে শ্রাবণী সেন গানের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র l তাঁর মা সুমিত্রা সেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ছিলেন। তার দিদি ইন্দ্রানী সেন গানের জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম। আর শ্রাবণী সেন রবীন্দ্র সংগীতের এক নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছেন। আর এবার তিনি এই প্রজন্মের শিল্পী জয়া নাগের হাত ধরে দেখিয়ে দিলেন এভাবেই হাতে হাত দিয়ে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে মধ্যে সঙ্গীত এগিয়ে চলে।