ভয় করল না, একা একা ? এতোগুলো মাস দিব্বি একা কাটিয়ে দিলেন?
"দেখুন আমার বাড়ি কাঁথিতে। সেখানে বাবা মা রয়েছেন। আমি কলকাতায় কাজের সূত্রে একাই থাকি।বলতে পারেন একা থাকতে ভালবাসি বলেই বেছে নিয়েছি একা থাকাটা।যখন প্রথম লকডাউন হল তখন মনে হয়েছিল,কোনও ব্যাপার নয়। রান্না করে, সিনেমা দেখে দারুণ সময় কাটিয়ে ফেলব।কিন্তু যখন এক সপ্তাহ থেকে সেটা কয়েক মাসে গড়িয়ে গেল তখন যেন নিজের সামনে মানুষ দেখার জন্য মনটা হুহু করত।বাড়িতে যে মাসি কাজ করতেন তাঁকেও না করা হয়েছিল আসতে। একটা সময়ের পরে আর জাস্ট সহ্য করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল।যখন লকডউন উঠল আমি সময় নষ্ট না করে মা বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই।"
advertisement
একবারও মনে হল না ওনাদের সঙ্গে থাকলে ভাল হত?
"না সেটা মনে হয়নি তা নয়। কিন্তু আবার যেহেতু আমার মায়ের নার্ভের সমস্যা রয়েছে সেই কারণে এটাও মনে হয়েছে যে এখন যখন আমি কাজে বেরোচ্ছি তখন এক সঙ্গে না থাকাটাই ভাল।"
"ঘরে বাইরে আজ"- এ অপর্ণা সেনের সঙ্গে কাজের পরে বেশ অনেকগুলো ছবির অফার ছিল তুহিনার কাছে। কিন্তু এখন সেগুলো প্রায় হল্টেড বলা যেতে পারে। কথা হয়ে রয়েছে । সেখানে OTT আগামী ভবিষ্যৎ বলেই মনে করেন তুহিনা। তাঁর কথায় "দেখুন অনেকগুলো ছবির কথা তো হয়ে রয়েছে। কিন্তু সবার একই প্রশ্ন। ছবি না হয় বানানো হল কিন্তু কবে বড় পর্দায় দেখান হবে তার কোনও সঠিক তথ্য কারর কাছেই নেই। সেখানে দাঁড়িয়ে যত প্রোডাকশন হাউজ আছে তারা OTT'র দিকেই ঝুঁকছে। আমার OTT -তে একটা কাজ হয়ে গেছে। আর একটা কাজ চলছে। কাজ করছি বলে অনেকটা রিলিফ।"
বড় পর্দায় বেশ সাহসী অবতারে দেখা গিয়েছিল তুহিনাকে।পর্দার বোল্ডনেস নিয়ে এখন নতুন কারোর সঙ্গে কী প্রেম করা সম্ভব?
" প্রেম টেম সবই এখন রেস্ট মোডে। এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে যে সবই এখন স্থগিত।"
আার যদি নতুন কাউকে ভাল লেগে যায়? মিট করলে চুমুটাও কী এখন বন্ধ....."না বাবা! এক্কেবারে রিস্ক নেওয়া যাবেনা।" বলেই খুব জোরে হেঁসে ওঠেন তুহিনা।অর্থাৎ বোঝা গেল অন্তত দু সপ্তাহের অবজারভেশন ছাড়া খুব কাছে কাউকে জাস্ট ঘেঁষতে দেওয়া যাবে না এখন।
তবে হ্যাঁ, তুহিনা ভালবাসেন রাঁধতে। এই লকডাউনে যে রান্না নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তা নয়। কিন্তু যেহেতু মাছে ভাতে বাঙালি তাই চুটিয়ে বাঙালি খাবার রেঁধেছেন এবং খেয়েছেন।ওজন অনেকখানি বেড়েছে বৈকি। তবে তাতে নো পরোয়া জানিয়ে দিলেন তুহিনা।
SREEPARNA DASGUPTA