এই পোস্টের পর নিউজ১৮ বাংলা থেকে শিলাজিৎকে ফোন করা হলে উনি স্পষ্ট জানান, সৃজিত যে এ ছবি বানাচ্ছেন সে খবর তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছেন। ভক্তরা জানিয়েছে। কিন্তু কোন সৃজিত সেটাও তিনি জানেন না। যদিও এর পর বেশ কিছুটা জল ঘোলা হওয়ার পর। শিলাজিৎ বলেন তিনি একটা সৌজন্য ফোন তো আশা করতেই পারেন। ওদিকে সৃজিত বলেন, " আমি ফোন করেছে শিলাদা ধরেনি।" সে হতেই পারে। এর পর গোটা টলিউড যখন মনে মনে ভাবতে শুরু করেছে, বেশ বেশ একটা ঝগড়া তবে লাগল। এবার দ্যাখ কেমন লাগে। এমন কিছু অনেকেই মনে মনে ভাবছেন। ঠিক সে সময় ঘটে যায় মিরাকেল।
advertisement
শত্তুরের মুখে ছাই চাপা দিয়ে দুই শিল্পী যা করলেন, তা সত্যিই অবাক করে। রাত তিনটের সময় বেল বাজল শিলাজিতের বাড়ির। দরজা খুলতেই দেখেন দাঁড়িয়ে সৃজিত। 'এ কি বস এসব কি।" এটুকুতেই গলে জল দুই শিল্পী মন। তারপর প্ল্যান করেন দু'জনে এক সঙ্গে লাইভে আসবেন।
প্ল্যানটা সৃজিতেরই ছিল। এই লাইভে এসে সবটা পরিস্কার করে বলেন শিলাজিৎ। সংবাদ মাধ্যমকে একটু দোষারোপ করেছেন বটে। তবে সে করতেই হত। না হলে পরিচালক-গায়কের সম্পর্কের ভুল বোঝাবোঝি কাটত না। শিলাজিৎ বলে, " আমার গান নিয়ে যদি বিদেশে কেউ ছবি করত, আমি কি বলতাম ওটা আমার ছবি। কপিরাইট চাই। কিসের কি বলরাম না তো। তবে সৃজিত এভাবে বাড়ি চলে আসবে আমি ভাবিনি।" ওদিকে সৃজিত বলেন, "শিলাদা তোমায় কি আজ থেকে চিনি ! আমি যখন এই সিনেমা জগতে আসিনি সে সময় থেকে চিনি। তোমার জায়গা অন্য। তাই আমাদের মনোমালিন্য হতেই পারে না।" এর পর দুই শিল্পী মেতে ওঠেন নিজেদের নানা গল্পে। তবে সৃজিত প্রমাণ করেছেন শুধু সৌজন্য বোধ নয়, তাঁর মনেও শিলাজিতের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে। নয়ত মাঝ রাতে এভাবে কেউ আসতে পারে না। প্রসঙ্গত এই দিন মিথিলাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন সৃজিত। এবার ফের একটা 'জল ফড়িং'-এর মতো গান হোক। দুই শিল্পী এভাবেই ভালোবাসায় আটকে থাকুন।