রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে। বাঙালির চিরায়ত ভক্তিরসে নিষিক্ত ছিলেন তিনি, ছিলেন মানবতাবাদী। তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে দিয়ে তিনি মানুষের অন্তর্গত জগৎকে যেমন নাড়া দিয়েছেন, তেমনি তাঁর হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য বিশ্বসাহিত্যের উঠোনে পা রেখেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। ছোটগল্পকে গণমুখী ও গণমানুষের ভেতরে নেওয়ার একক কৃতিত্ব তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন৩টি গল্প থেকে তৈরি ৩টি ছবি, আশা জাগাচ্ছে ভূতপূর্ব-এর টিজার
এই সব কিছু নিয়েই বুধবার ২১শে মে জ্ঞান মঞ্চে সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপস্থাপিত হবে “ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা”। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন ছোট গল্পের নির্বাচিত অংশ পাঠ করবেন সোহাগ সেন, বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, চৈতি ঘোষাল, রুবাই মাইতি, সুতীর্থ বেদজ্ঞ এবং সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের গান করবেন শবনম মেঘালী (শান্তিনিকেতন)। জীবিত ও মৃত, বদনাম, নষ্টনীড়, মধ্যবর্তিনী, স্ত্রীর পত্র, রবিবার এবং মুসলমানীর গল্প —মূলত এই গল্পগুলির নির্বাচিত অংশ পাঠ করা হবে এই অনুষ্ঠানে।
শবনম গাইবেন , “কেহ কারো মন বুঝে না”, “বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে”, “আমার মুক্তি আলোয় আলোয়” প্রভৃতি গান।সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানালেন,” রবীন্দ্র সৃষ্টির এ এক অন্য দিক। যা নিয়ে খুব যে আলোচনা বা অনুষ্ঠান হয় তা নয়। কিন্তু ছোটো গল্পকার হিসেবে রবীন্দ্র নাথ বাংলা সাহিত্যে অগ্রগণ্য। “