কেকে-র মৃত্যুর পরে সেই মঞ্চে অনুপম রায়ও গান গেয়েছেন। কিন্তু অন্য শহর থেকে এই প্রথম কেউ এসে অনুষ্ঠান করলেন। এই মাসের শুরুতেই তিনি জানিয়েছিলেন অনুষ্ঠান বাতিল করবেন না। কথা রেখেছেন সোনু। রবিবার, ২৬ অগস্ট দর্শকের সামনে গান গাইলেন তিনি। ছিলেন হাজার হাজার দর্শক। যোধপুর পার্ক উৎসব ২০২২-এর অনুষ্ঠানের ডাকেই কলকাতায় আসা তাঁর। কিন্তু নিরাপত্তা ছিল তুঙ্গে। লালবাজারের তরফে নির্ধারিত SOP মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জরুরিকালীন পরিস্থিতির জন্য মঞ্চের বাইরে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করানো ছিল। ছিল দমকলের গাড়িও। সিট সংখ্যার চেয়ে একটিও বেশি টিকিট বিক্রি করা হয়নি। ঢুকতেও দেওয়া হয়নি কাউকে।
advertisement
আরও পড়ুন: গানের জন্য এসেছিলেন যে শহরে, গানস্যালুট নিয়ে সেই কলকাতা ছাড়ছেন কেকে
কেকে-র অনুষ্ঠানের দিন গুরুদাস মহাবিদ্যালয় কলেজের ফেস্টে-র অনুষ্ঠান ছিল কলকাতা নজরুল মঞ্চে। সেখানেই রাত পর্যন্ত গান গেয়ে হোটেলে ফিরে যান কেকে। অনেক ক্ষণ ধরেই শরীর খারাপ লাগছিল তাঁর। স্টেজে দাঁড়িয়ে খুবই ঘামছিলেন তিনি। গরম লাগছিল খুব। হোটেলে পৌঁছেই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পৌঁছনোর পরেই চিকিৎসকরা তাঁক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার জন্য অনেকেই উদ্যোক্তাদের এবং নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। এসি ঠিকঠাক না চালানো, নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি মনুষকে ঢুকতে দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে আঙুল তোলা হয়েছে পরিকাঠামোর দিকে।
আরও পড়ুন: কেকে-র মতোই অবস্থা হয়েছিল কলকাতায় শো করতে গিয়ে, নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না: অর্জুন
উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, সে দিনের ভিড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এসেছিল। কিন্তু উদ্যোক্তারা পুলিশের বারণ শোনেনি বলেই অভিযোগ। যা সিট ক্যাপাসিটি, তার থেকে দ্বিগুণের বেশি দর্শক ঢোকা নিয়ে পুলিশ আপত্তি করেছিল। কিছুই শোনা হয়নি। তাহলে এই মৃত্যুর দায় কার? সোশ্যাল মিডিয়া আজও উত্তাল এই প্রশ্নে!