এমনই এক বিয়ে এবং বিয়েবাড়ি এবং ডিএমের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গায়ক সোনু নিগম। গতকাল একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছে নাইট কারফিউ৷ কিন্তু সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ত্রিপুরার আগরতলার দু'টি অনুষ্ঠান বাড়ি ভাড়া নিয়ে ধুমধাম করে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান৷ সরকারি বিধি ভেঙে নিমন্ত্রিতের সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট বেশি৷ হঠাৎই দুই বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হানা দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানই বন্ধ করে দিলেন ত্রিপুরা পশ্চিমের জেলাশাসক৷ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বর কনে সহ বিয়েবাড়িতে উপস্থিত প্রত্যেককেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব৷ শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা রাজ পরিবারের মালিকানাধীন ওই নামী দু'টি বিয়েবাড়ির বাইরে পুলিশও মোতায়েন করা ছিল বলে অভিযোগ৷ যা দেখে আরও রেগে যান জেলাশাসক৷ বিধি ভেঙে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আগরতলা পূর্ব থানার ওসি-কে সাসপেন্ড করার জন্য তিনি সরকারকে সুপারিশ করবেন বলেও জানান জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব৷ পাশাপাশি ওই বিয়ে বাড়ি দু'টি এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারি এড়াতে জেলাশাসকের সামনে রীতিমতো কাকুতি মিনতি করছেন বিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির বর, কনের বাড়ির লোক৷ এই ভিডিও দেখেই রাগে ফেটে পড়েন সোনু নিগম।
advertisement
তিনি ফেসবুকে ভিডিও করে ওই ডিএম অফিসারের নাম নিয়ে অভিযোগ করেন। বলেন," আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার বিয়েবাড়ির একটি ভিডিও দেখলাম। সেখানে দেখা গেল ডিএম সাহেব শৈলেশ কুমার যাদব বিয়ে বাড়িতে ঢুকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, যদি ওই বিয়ে বাড়ির লোকেরা করোনা নিয়ম ভঙ্গ করে থাকেন, তাহলে সবার আগে লোকাল থানা ও কাউন্সিলরদের প্রশ্ন করা কেন হয়নি? তাঁরা কিভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ম ভেঙে করার অনুমতি পেলেন জানা নেই। এবার যদি করেও থাকেন তাই বলে, এই রকম খারাপ ব্যবহার করবেন ডিএম সাহেব? এটা তো গুন্ডাগিরি। ওই অনুষ্ঠানের সকলকে তুই তুকারি করছেন, যাকে তাকে গ্রেফতার করছেন? এ কেমন অসভ্যতা? আপনি ডিএম, দেশের রাজা নন। তাছাড়া দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিজিও বোধহয় এত অহংকার করেন না নিজের ক্ষমতা নিয়ে, সকলের সঙ্গে ভদ্র ভাবে কথা বলেন। কিন্তু ডিএম সাহেব আপনি নিজেকে কি মনে করছেন? আজকের দিনে এই ব্যবহার কি কেউ কারও সঙ্গে করতে পারে! করোনার কথা মাথায় রেখে আপনি কেন আগে সতর্ক হননি। যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে ! সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই খারাপ ব্যবহারের কি মানে?" এই প্রশ্ন তুলে আজ সোনু এই ভিডিও শেয়ার করেন। যা নিয়ে অনেকেই মনতব্য করে, সহমত হয়েছেন সোনুর সঙ্গে। মানুষ এবং প্রশাসন সকলকেই এই সময় সাবধান হতে হবে, পরিস্থিতি বুঝতে হবে।