জানি হে জানি তাও, হয়নি হারা…’
মৃত্যু কেবল মিথ্যে হোক। এ পৃথিবীতে সব লড়াই তো জীবনেরই জন্য। তবু সবচেয়ে নিষ্ঠুর পরিহাস, এ পৃথিবীর সব থেকে কঠিন, মর্মান্তিক সত্যি তো মৃত্যুই। জীবনের কিছু সময় কাটানোর পরে চলে যান যাঁরা, তাঁদের মৃত্যু মেনে নিতেই হয়। সময়ের নিয়ম, জীবনের নিয়ম। কিন্তু যে প্রাণ আলোই দেখল না? যে ফুল না ফুটিতে, ঝরেছে ধরণীতে? সেই সত্য মেনে নেবে কে? অদৃষ্টের এই নিষ্ঠুর পরিহাস সহ্য করার শক্তি কার আছে?
advertisement
সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁকে সবাই প্রায় চেনেন। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় প্রেগন্যান্সির প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেছেন সোহিনী। অনাগত ভবিষ্যতকে ভেবে, কল্পনা করে তাঁর আনন্দ ছিল সীমাহীন। স্বপ্নের বোনা সেই জাল ছিঁড়ে যাবে, কে জানত! মাতৃত্বের সাধ আস্বাদন করলেন বটে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই কোল শূন্য হয়ে গেল। আমরা যোগাযাগ করেছিলাম তাঁর কাছের বান্ধবী শ্রুতি দাসের সঙ্গে। শ্রুতি নিজেও বিধ্বস্ত। ব্যস্তও বটে। নতুন ধারাবাহিকের কাজ চলছে তাঁর। তবু তাঁর মাঝেই তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখন আউটডোরে তাই ওঁর কাছে যেতে পারিনি। তবে অনিদার সঙ্গে কাল অনেক রাত পর্যন্ত কথা হয়েছে। প্রসবের সময়ই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। সোহিনীরও রিস্ক ছিল, পরে বিপন্মুক্ত হয়েছে। ঈশ্বর ওকে শক্তি দিন। ও একেবারেই আমার পারিবারিক বন্ধু।’
নিজের মাতৃত্বকালীন সময়টা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন সোহিনী। তাঁর সঙ্গে যেন তাঁর সমাজমাধ্যমের বন্ধুরাও একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। এই নিদারুণ শোকে বিধ্বস্ত গোটা নেটপাড়া।