জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিকল্পনা করা অনেকদিনের প্রজেক্ট এবারে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনছেন শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। গানের জন্য তিনি পরিচিত হলেও এবারে নিজের নামের সঙ্গে একটি ফাউন্ডেশন যোগ করলেন লোপামুদ্রা। গানের পাশাপাশি অন্য ধারার কাজ করার তাগিদ থেকে "চারণ ফাউন্ডেশন" তৈরি করলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। প্রথম উদ্যোগ অচেনা শান্তিনিকেতনকে চেনার।
advertisement
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতনে হবে আলপনার কর্মশালা, সাঁওতালি নৃত্য, বাউল গান, ঘাসের গহনা তৈরির কর্মশালা। "অনেক দিন থেকেই গানের বাইরে অন্য কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আগে যেমন সহজ পরব করেছি।এবার মনে হল নিজের নামে নয়, কোনও সংস্থার মাধ্যমে কাজটা করি বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় যুক্ত শিল্পীদের জন্য। নতুন প্রজন্মের নিজ সংস্কৃতি সম্পর্কে যে চর্চা করাটাও কতটা প্রয়োজনীয় সেই সব ভাবনা থেকেই চারণ ফাউন্ডেশন তৈরি করা।" বললেন লোপামুদ্রা মিত্র।
শান্তিনিকেতনের আশ্রম শিক্ষায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে আলপনার প্রচলন করেছিলেন, তা ছিল প্রকৃতি শিক্ষারই একটা রূপ। আচার্য নন্দলাল বসুর শিক্ষাদর্শে কিরণমালা দেবী, সুকুমারি দেবী, গৌরী ভঞ্জ, যমুনা দেবী, ননীগোপাল ঘোষ, এঁদের হাত ধরে আলপনার এই রীতি সারা পৃথিবীতে খ্যাতি পেয়েছে। পরবর্তীকালে সেই ধারা বহন করে আলপনারীতির সুযোগ্য শিল্পী হয়ে ওঠেন শ্রী সুধী রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ।
১৯৭৬ এ সুধী বাবু জাতীয়বৃত্তি নিয়ে কলাভবনে আসেন। পরবর্তীকালে সেখানেই শিক্ষকতা করার সাথে সাথে শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন ঋতুউৎসবে আলপনা দেওয়ার প্রধানকান্ডারী। এছাড়াও রবীন্দ্রনাট্যের পোষাক, অলঙ্কার , মন্চসজ্জাতেও তার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
আগামী ৬ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় , শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরি গেষ্ট হাউজ, যা দুর্গাবাড়ি নামে পরিচিত, সেখানে শ্রী সুধী রঞ্জন মুখোপাধ্য়ায়ের আলপনা শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন এবং শেখাবেন।