শিল্পা বলেন ' হ্যা গত কয়েক দিন প্রতিটি মুহূর্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক গুজব ও অভিযোগ উঠেছে। আমার উপর অযৌক্তিক আক্রমণ করা হয়েছে, মিডিয়া করেছেন। শুধু তাই নয় যাদের শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করতাম তাঁরাও আমায় আক্রমণ করতে ছাড়েননি। প্রচুর ট্রোলিং, প্রশ্ন সামনে আসছে। শুধু আমার কাছে নয়, আমার পরিবারের কাছেও। আমার অবস্থান ...আমি এখনও মন্তব্য করিনি এবং এই ক্ষেত্রে আমি কোনও মন্তব্য করবও না। কারণ এটি বিচারাধীন, তাই দয়া করে আমার পক্ষ থেকে মিথ্যা বক্তব্য হিসাবে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করবেন না।
advertisement
পর্নকাণ্ডে জেলবন্দি রাজ কুন্দ্রা, গত ১৯শে জুলাই শিল্পার শেট্টির স্বামীর গ্রেফতারির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেত্রীও। নায়িকার অভিযোগ এই মামলায় ‘মিডিয়া ট্রায়াল’-এর মুখে পড়ছেন তিনি। আদালতে বা আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধী ঘোষণা করা হচ্ছে।
রাজ কুন্দ্রা ঘরনি জানান, মুম্বই পুলিশ এবং ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে মা হিসাবে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের গোপনীয়তার একটু খেয়াল রাখুন, অন্তত আমার দুই সন্তানের জন্য। দয়া করে কোনও অর্ধ-সত্য তথ্য ছড়িয়ে দেবেন না’।
প্রসঙ্গত, পর্ন ভিডিয়ো তৈরি এবং তা অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এই অভিযোগে গ্রেফতার হন শিল্পার স্বামী। মুম্বই পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে এই মামলায় কোনওরকম ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি শিল্পাকে, তদন্ত জারি রয়েছে। সংবাদমাধ্যম তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে পর্নকাণ্ড সংক্রান্ত নানান ‘মিথ্যা, ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন’ খবর প্রকাশ করে, এই অভিযোগ এনে বম্বে হাইকোর্টে মানহানির মামলা ঠুকেছেন শিল্পা। মামলার প্রথম শুনানিতে রীতিমতো আদালতের ভর্ৎসনা মুখে পড়েন রাজ কুন্দ্রা ঘরনি। তবে অভিনেত্রীকে কোনওরকম অন্তর্বতীকালীন অব্যাহতি দেয়নি আদালত। বরং পাল্টা আদালত প্রশ্ন করে, ‘পুলিশের দেওয়া তথ্য চ্যানেলে সম্প্রচার করা হলে বা সংবাদপত্রে অথবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হলে সেটা কিভাবে মানহানিকর?’ সবমিলিয়ে বেশ নাজেহাল অবস্থা কুন্দ্রা পরিবারের। এই পরিস্থিতিতে শিল্পা শেট্টির এই বিবৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।