এ দিকে বাড়িতে নতুন করে বিয়ে দেওয়া হবে বলে আয়োজন করা হচ্ছে। অরিন্দমের মা আবার করে নিজের ছেলের বিয়ে দিতে চান। কিন্তু নোলক বারবার দেখেছে যে, আইনজীবী অরিন্দম রায় নোলককে তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে দ্বিধা বোধ করে। তাই সে নিজেই অরিন্দমের থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থির করেছে, বিয়ের আগেই সে এ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু সে কথা কাউকে জানাতে পারছে না নোলক।
advertisement
আরও পড়ুন: তারকা দম্পতি ভরত-জয়শ্রী রোল বিক্রি করছেন রাস্তার ধারে! এ কী পরিণতি দুই শিল্পীর
মেখলা এবং অগ্নি আবার নোলককে রায়বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করছে। বাড়ির লোকের সামনে নোলককে অমঙ্গলের কারণ হিসেবে দেখাতে চায় তারা। তার ফলে কেউ আর বাড়ির বড় বউকে ফিরিয়ে আনতে চাইবে না।
অন্য দিকে অরিন্দম ভাবছে, নোলক তার সঙ্গে থাকতে চায় না। মনে মনে নিজের স্ত্রীকে ভালবেসে ফেললেও তাকে নিজের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে বলে স্থির করেছে রায়বাড়ির বড় ছেলে। তাই ধুমধাম করে বিয়ের আগেই তাকে অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখে পরে নিজে হাতে নোলককে নতুন জীবনসঙ্গী খুঁজে দেবে। অরিন্দম এমন কারও হাতে নোলককে তুলে দিতে চায়, যার সঙ্গে তার বয়সের ফারাক খুব বেশি হবে না। কিন্তু প্রেম তো বয়স মানে না। তাই স্বামীকে ছেড়ে যেতে মন চায় না নোলকের। চোখে জল নিয়ে ঠাকুরের সামনে বসে প্রার্থনা করে নোলক। সে বলে, "ঈশ্বর দেখো, যেন আমাকে আর এ বাড়িতে ফিরে আসতে না হয়।"
আরও পড়ুন: করিনার পরে শ্যুটিংয়ের জন্য দার্জিলিং পাড়ি সোহম চক্রবর্তীর
এমন ভাবেই অরিন্দমকে ছেড়ে চলে যাবে নোলক। তার পর আর এক হবে না তারা? হেরে যাবে অসমবয়সি প্রেম?
কিন্তু দর্শক সমু সরকার এবং কৌশিক সেন ওরফে নোলক-অরিন্দমের 'না বলা প্রেম' নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের প্রেমের পরিণতি দেখতে মরিয়া 'গোধূলি আলাপ' প্রেমীরা। দর্শক বিদ্রোহ শুরু করেছেন এই বলে, 'এ বার নোলক-অরিন্দমের ইতিবাচক প্রেম দেখান। ওদের কষ্ট আর নিতে পারছি না। চোখে জল আসছে, আর ভাল লাগছে না।' নির্মাতারা কি দর্শকের কথা শুনবেন?