তিনটি চলচ্চিত্র যেই প্রযোজনা কম্পানির, তাঁদের পরিবারের উত্তরাধিকারী অরিজিত দত্ত বলেছেন, “আমি এই তিনটি ছবি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। ইতিমধ্যেই জেনাস ফিল্মসের সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ইলিশ ভাপা না ভাজা! কোনটা পচ্ছন্দ বলি-টলি তারকাদের? জানুন
১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, জেনাস ফিল্মস ছিল প্রথম সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তারাই মার্কিন দর্শকদের কাছে প্রথম আন্তর্জাতিক আর্ট-হাউস চলচ্চিত্র নিয়ে আসে। কোম্পানির লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করা রেয়েছে ইঙ্গমার বার্গম্যান, আকিরা কুরোসাওয়া, আন্দ্রেই তারকোভস্কি, ফেদেরিকো ফেলিনি এবং সের্গেই আইজেনস্টাইনের কাজ।
advertisement
অরিজিত দত্তের কথায় ‘‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা একটি বিশাল বড় দায়িত্ব। এর জন্য প্রচুর অর্থেরও প্রয়োজন। এই তিনটে সিনেমাই আমার বাড়ির একটি ঘরে রাখা রয়েছে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। প্রতি দু’বছর পর এয়ার কন্ডিশনার বদলাতে হয়।’’
প্রসঙ্গত, জেনাস ফিল্মস এর আগে ‘অপু ট্রিওলজি’ সংরক্ষণ করে। ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ১৯৬৯ সালে পূর্ণিমা পিকচার্সের ব্যানারে মুক্তি পায়। অন্যদিকে, ১৯৭০ সালে প্রিয়া ফিল্মস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রযোজনা করে।
অরিজিত দত্ত আরও বলেন, ‘‘৯০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর নেগেটিভগুলি বোম্বে ফিল্ম ল্যাবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেটি বন্ধ হওয়ার পরে আমাকে গিয়ে ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল সব।’
তিনি বলেন “আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও একটি কারণে। সবাই এটি বিনামূল্যে প্রদর্শন করতে চায়। আমরা সবাইকে না বলতে পারি না। এছাড়াও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযোজকের নাম উল্লেখও করা হয় না। ইউএস ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কপিরাইট পেয়ে গেলে, তাদের অনুমতি ছাড়া কোনও কোম্পানি এই তিনটি ছবি দেখাতে পারবে না।’ সত্যজিৎ রায়ের পুত্র ও পরিচালক সন্দীপ রায়ও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।