জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকার আগে থেকে কিছু জানায়নি। ফোনে যেভাবে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয় শিল্পীর কাছে, তা অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিল্পীকে সোমবার কেন্দ্রের তরফে ফোন করা হয়। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। কোনওরকমে টেলিফোনে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ফোনের ওপ্রান্ত থেকে গায়িকাকে হিন্দিতে বলা হয়, আগামিকাল আপনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করতে চাই। আপনি যদি নেন, তাহলে তালিকায় অন্যান্য পদ্ম-পুরস্কার প্রাপকদের সঙ্গে আপনার নামও ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এহেন কথা শুনে গায়িকা প্রথমটায় হতবাক হয়ে যান। তাঁর ভাষায়, পদ্ম-সম্মানে ভূষিত করার এটাও কোনও কায়দা হয়ে পারে বলে জানা ছিল না। শুধু তাই নয়, তাঁর সমসাময়িকরা যেখানে যোগ্য কারণেই কেউ ভারতরত্ন, কেউ পদ্মবিভূষণ, নিদেনপক্ষে পদ্মভূষণ, সেখানে তিনি কিনা পদ্মশ্রী! সন্ধ্যার আরও খারাপ লেগেছিল শেষমুহূর্তে এমন প্রস্তাবের ধরনে। তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন। দিল্লির আমলাকে বলেন, ‘একটা কথা জেনে রাখুন। আমার শ্রোতারাই আমার পুরস্কার।’ অভিমানী সন্ধ্যা বলছেন, ‘নব্বই বছর বয়সে এভাবে অপমান করল? এভাবে শেষ মুহূর্তে পুরস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছে! অসংখ্য বাণিজ্যিক ছবির গানের পাশাপাশি একাধিক ক্লাসিক্যাল রেকর্ড রয়েছে আমার। একজন ক্লাসিক্যাল শিল্পীও বটে। উস্তাদ গুলাম আলি খানের কাছে গান শিখেছি। উস্তাদ আমির খানের কাছে তালিম নিয়েছি। একজন ক্ল্যাসিক্যাল শিল্পীকে পদ্ম পুরস্কারের জন্য এভাবে প্রস্তাব দেওয়া যায়!’
advertisement
১৯৮৭ সালে যেমনটা করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, এবার ঠিক তেমনটিই করলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অপমানিত ও অসম্মানিত হয়ে ফিরিয়ে দিলেন পদ্মশ্রী সম্মান। আটের দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।