এই আলোচনার মধ্যেই গত রবিবার সলমন ও সেলিম খানের কাছে আসে একটি হুমকি চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা, তাঁদের পরিণতিও হবে সিধু মুসেওয়ালার মতোই। চিঠি পাওয়ার পরেই বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম ও সলমন। কে সেই চিঠি রাখল তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সনাক্ত করতে পেরেছে কারা রেখেছিল সেই চিঠি। বেশ কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে আর তাই তাদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
অভিযুক্তদের সনাক্ত করার পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে ৬টি দল পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, তিন জন ব্যক্তি মুম্বই এসেছিল সলমনকে সেই হুমকি চিঠি দিতেই। এছাড়াও তারা সৌরভ মহাকালের সঙ্গে দেখা করে। এই সৌরভ মহাকালকে আজ বৃহস্পতিবার ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তিন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা গিয়েছে। তিন জনই বিষ্ণোই গ্যাং এর সদস্য বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বিদেশের মঞ্চে জনস্রোতের সামনে কেকে-কে শ্রদ্ধা! অরিজিতের গানে আবেগে ভাসলেন শ্রোতারা
তবে এই হুমকি চিঠির পিছনে আছে বিক্রম বারাড নামে এক ব্যক্তি। সৌরভ মহাকালকে জেরা করে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই বিক্রম বারাড হল রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা। এর বিরুদ্ধে ২৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে। হুমকি চিঠিটি একটি বেঞ্চের উপরে রাখা ছিল। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে সেই বেঞ্চের উপরেই সাধারণত বসেন সেলিম খান। ৫ জুন প্রথম এই চিঠি হাতে পান সেলিম খানের এক নিরাপত্তা রক্ষী।
কিন্তু কেন সলমন এই বিষ্ণোইদের নিশানায়? হাম সাত সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংএর সময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্য়ায় অভিযুক্ত হন সলমন। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই সলমনক হত্যা করার হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে খুবই পবিত্র মানে। অতীতে 'রেডি' ছবির সেটেও সলমনকে হত্য়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।