তবে ট্রেড বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট হইচই কিন্তু এখনও নেই। তবে তাঁরা যা-ই বলুন না কেন, সলমনের ভক্তরা কিন্তু বড় পর্দায় ভাইজানকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন। বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভক্তদের সঙ্গে দেখাও করেন সুপারস্টার। সেখানে বেশ খোশমেজাজে আলাপচারিতা সারেন তিনি।
কীভাবে তাঁরা দর্শকদের ‘বিনোদনের’ রসদ জোগাবেন, সেই বিষয়টিও ওই অনুষ্ঠানে আলাপচরিতার সময়ে তুলে ধরেন ক্যাটরিনা। এমনকী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এ-ও জানান যে, ছবির প্রথম শো রাখা হয়েছে ভোর ৬টায়। এই কথা শুনে সলমন হেসে জানান তিনি ওই শো অবধারিত ভাবে মিস করবেন। নিজেকে ‘নিশাচর’ বলে মজা করে অভিনেতা বলেন, “৬ বাজে তো ঠিক হ্যায়, বাট সাত বাজে কে বাদ না ফ্লাইট পাকড়ি জাতি হ্যায় না ফিল্মস (ভোর ৬টা পর্যন্ত আমি চালিয়ে নিতে পারব, কিন্তু সকাল ৭টার পরে উড়ান কিংবা ফিল্ম কোনওটাই ধরতে পারব না)।”
advertisement
ওই অনুষ্ঠানে ছবির প্রধান তারকারদের জন্যও ছিল চমক। আর তাঁদের একটা ছোটখাটো উপহার দিতে মঞ্চে এসেছিল কয়েকজন শিশু। তারা ছবির ‘লে কে প্রভু কা নাম’ গানে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছে। সেই সঙ্গে ছবির তারকারা একটি এনজিও স্কুলের কিছু পড়ুয়ার সঙ্গেও আলাপচারিতায় মেতে ওঠে। সেই ছাত্রছাত্রীরা টাইগারের কায়দায় স্কার্ফ জড়িয়ে ছবির জন্য পোজও দিয়েছেন। তাদের দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ক্যাটরিনা। আসলে মাদুরাইয়ে দরিদ্র শিশুদের জন্য একটি স্কুল চালান অভিনেত্রীর মা।
সেই স্কুলের কথাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাদুরাইয়ে একটা স্কুল আছে। যেখানে প্রায় ৩০০ শিশু পড়াশোনা করে। গত প্রায় ৫-৬ বছর ধরে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের পড়াচ্ছেন আমার মা।” মাঝে অবশ্য তাঁকে থামিয়ে দেন সলমন। অভিনেতা বলেন, “ওটা ১০ বছর হবে।” এটা শুনে ক্যাটরিনা হেসে সম্মত হন। এরপরে তাঁরা ওই ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনার বিষয়েও প্রশ্ন করেন।
‘টাইগার ৩’ ছবির আগাম টিকিট বিক্রয় মুক্তির এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। মাত্র তিন দিনেই বিক্রি হয়েছে ১০০০০ শোয়ের প্রায় ৩ লক্ষ টিকিট। আয় হয়েছে মোট ৮ কোটি টাকা। আর এটা সলমনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এর আগে সলমনের ঝুলিতে এসেছে একের পর এক ফ্লপ।
ফিল্ম ট্রেড এক্সপার্ট এবং প্রযোজক গিরীশ জোহরের আশা, প্রথম দিনেই এই ছবিটি গ্লোবাল বক্স অফিসে ১০০ কোটি টাকা আয় করবে। আর তাঁর বিশ্বাস, এই ছবি ইতিহাস লিখবে।