সিধু মুসেওয়ালার হত্যা নিয়ে তদন্ত চলছে। এই তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ আধিকারিকদের হাতে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, বাড়ির বাইরে সলমনকে হত্যা করার জন্য প্রায় প্রস্তুত ছিল একটি শার্পশ্যুটার। সলমনের বাড়ির সামনে সকালে একটি হকিস্টিকের মধ্যে পিস্তল লাগিয়ে গুলি ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল সেই শার্পশ্যুটার। সকাল বেলা সলমনের নিরাপত্তা সবচেয়ে কম থাকে। এই সময়ে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াই সাইকেল নিয়ে বেরোন সলমন। তাই সেই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- পাছে করোনা হয়ে যায়! মহিমার ক্যানসারের সময়ে একটি বড় কাজ করেন মেয়ে আরিয়ানা
কিন্তু সেই সময়ে একটি শ্যুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল সলমনের। মুম্বই পুলিশ থেকে সেদিন তাঁকে এসকর্ট করতে এসেছিল বলেই সামান্যর জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন সলমন খান। পুলিশ দেখেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছিল শার্পশ্যুটার। রবিবার সলমন ও সেলিম খানের কাছে আসে একটি হুমকি চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা, তাঁদের পরিণতিও হবে সিধু মুসেওয়ালার মতোই। চিঠি পাওয়ার পরেই বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম ও সলমন। কে সেই চিঠি রাখল তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সনাক্ত করতে পেরেছে কারা রেখেছিল সেই চিঠি। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ জানাচ্ছে, তিন জন ব্যক্তি মুম্বই এসেছিল সলমনকে সেই হুমকি চিঠি দিতেই। এছাড়াও তারা সৌরভ মহাকালের সঙ্গে দেখা করে। এই সৌরভ মহাকালকে আজ বৃহস্পতিবার ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তিন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা গিয়েছে। তিন জনই বিষ্ণোই গ্যাং এর সদস্য বলেও জানা গিয়েছে।