প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার আগেই এর প্রি-সেল এবং মিডনাইট শো-এর পরিসংখ্যান তাক লাগিয়ে দেবে। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, শনিবার এই ছবির আয় হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে এই ছবি ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকার গণ্ডি পার করে গিয়েছে। এখন তো সবেমাত্র শুরু। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, বক্স অফিসে সাইয়ারা-র দাপট অব্যাহত থাকবে।
advertisement
পুরনো রেকর্ড ভাঙল, তৈরি হল ইতিহাস:
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ‘সাইয়ারা’ ছবির টাইটেল ট্র্যাক বাজছে আর বাইকে চেপে পর্দায় এন্ট্রি নিচ্ছেন আহান। আর সেই ভিডিও দেখে হাততালি, সিটি-তে ফেটে পড়ছে গোটা হল। আর এখানেই তৈরি হল ইতিহাস। কারণ তারকা নয়, এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীর জন্য এহেন উন্মাদনা দেখা গেল। আরও কিছু রেকর্ড তৈরি করেছে সাইয়ারা। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ এবং ‘রিফিউজি’ ছবির পরে ২৫ বছরে এই প্রথম ডেবিউট্যান্ট ছবি হিসেবে প্রথম দিনেই সাইয়ারা-র সবথেকে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এটা মোহিতের কেরিয়ারের সেরা ওপেনিং।
লাভ স্টোরি হিসেবে অতিমারী পরবর্তী কালে সর্বোচ্চ ওপেনিং পেয়ে রেকর্ড গড়েছে ‘সাইয়ারা’। আর গোটা ভারতে মাত্র ৮০০০টি শোয়ের হাত ধরেই এই পরিসংখ্যান অর্জন করেছে এই ছবিটি। যেখানে ২০ কোটি টাকার ওপেনিংয়ের জন্য গড়ে ১৮০০০টি শোয়ের প্রয়োজন হয়। আর এখানেই রয়েছে সেই ট্যুইস্ট। এদিকে অভিনেতা-অভিনেত্রীও একেবারে নতুন। তাঁদের সাক্ষাৎকার কিংবা প্রচার কিন্তু একেবারেই ছিল না।
‘সাইয়ারা’ দাপট:
বড় কোনও পরিচালক কিংবা তারকা ছাড়াই ‘সাইয়ারা’ নিয়ে এত হইচই কেন? নেটিজেনদের মতে, ‘আশিকি ২’ ছিল মিলেনিয়াল প্রজন্মের জন্য। অন্যদিকে ‘সাইয়ারা’ আসলে Gen-Z প্রজন্মের জন্য একেবারে পারফেক্ট। আর অভিজ্ঞ তারকাদের মতোই নিজেদের অভিনয় ফুটিয়ে তুলেছেন আহান-অনীতও।
প্রেমকাহিনির ক্ষমতা এবং ভাল গান:
বর্ষীয়ান ট্রেড এক্সপার্ট তরণ আদর্শ বলেন যে, “এটা একটা গভীর প্রেমকাহিনি। আর সাম্প্রতিক সময়ে কীভাবে তা তৈরি করা উচিত, সেটা আমরা ভুলে গিয়েছি। ‘সাইয়ারা’ ছবির গানও মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আমরা রোম্যান্টিক কিংবা রোম্যান্টিক-কমেডি ধারার ছবি বানাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু ভাল গানের সঙ্গে গভীর প্রেমকাহিনির অভাব রয়ে গিয়েছে। হিন্দি ছবিতে গানের উপর জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।”