এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ কবিতা প্রকাশ করেছেন রূপঙ্কর বাগচীর সহধর্মিনী চৈতালী লাহিড়ী৷ বানান অপরিবর্তিত রেখে কবিতাটি দেওয়া হল-
"স্যোশাল মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রনালিন রাশ,
ছোট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস।
দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা,
জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা।
তারপর একটা লম্বা ট্রীপ এমন নেশা কোনো
advertisement
মাদকেই হয়না,
উত্তেজনা উত্তেজনা---উফফ দাদা জীবনে কী পাবোনা ভুলেছি সে ভাবনা
এমন একটা বেপরোয়া ঝড়ের মুখে পড়ে,
অসহায় সে পরিবারের টীন এজ মায়ের মনে,
ধরফরিয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা
দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা।
এমন কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা?
কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?
নিজেকে নিয়ে বাঁচো, নিজের আখের গোছাও ওগো--
মেয়েটার ভবিষ্যৎ আছে, আমার কথাটাও ভাবো।
ভালোই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা
সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরিচীকা
তোমাদেরও ঘরে জানি আছে এমন বোন ও মা
কেমন হবে তাদের জন্য এমন সমালোচনা?
হুমকী ফোন আর অশ্লীলতা ভাষায় ও ভঙ্গীতে
বিনিদ্র রাত দুমুঠো ভাত মুখেও না রোচে।
তবুও ছিলাম নীরব জানি ওটাই তখন শ্রেয়
যতই ভাবি আমার শহর আমার বড় প্রিয়।
অচেনা আজ ঠেকে কেন চেনা লোকের মুখ
বদলে গেল চোখের ভাষা বেড়িয়ে এলো দাঁত নোখ।
ছোট্ট মেয়ে থই পায় না বাবার বিশেষণে,
ভাবছে যতই চোখের পাতা ভিজছে অভিমানে
অবুঝ তাকে কী যে বলি-----
ওরে ভাবিস না রে,
ওসব হল রাগের কথা
ধরতে হয়না ওমন করে।
ঘর সামলাই কাজ সামলাই মুখে হাসি রেখে,
কেউ যেন না বোঝে চোখের কালি রাখি ঢেকে।
সত্যিকারের মানুষ কিছু ঘিরে ছিলেন পাশ
তাদেরও নানান হেনস্তায় কেটেছে দিনরাত।
তাদের বলি তোমাদের আমায় লড়াকু বলেই জানা
এক্ষেত্রে ভুমিকা আমার স্ত্রী ও যশোদা মা।"
গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে স্বস্ত্রীক রূপঙ্কর বলেন, "প্রথমেই প্রয়াত কেকে-র পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। বিগত কয়েদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যে ভিডিওটি ভাইরাল সেটি আমি ডিলিট করলাম। কেকে আজ যেখানেই থাকুন ঈশ্বর যেন ওঁকে শান্তিতে রাখেন।"