রবিবাসরীয় রাত। হাইভোল্টেজ ম্যাচ। স্টেজে প্রেস্টিজ ফাইট। বন্ধু তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। মাঠ ভর্তি স্থানীয় মানুষ। সেই মঞ্চে খাদের কিনার থেকে সম্মান পুনরুদ্ধার রূপঙ্কর বাগচি'র। ধোঁয়া ওঠা কফি'র চুমুকের সঙ্গে দর্শক যখন একটু একটু করে গানে মজতে শুরু করেছেন, তখনই ছন্দপতন। গিটারের বোল আর যেন ওঠেনা। ও চাঁদ... গাইতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন গায়ক। গিটার যে তাল কাটছে। গোটা মাঠ দেখছে। ও চাঁদ...আর শুরু হয় না যে।
advertisement
বিজেপি নেতার পাড়ার পুজোর অনুষ্ঠান। উপস্থিত অনেক ছোট, মাঝারি মাপের নেতাও। আর ঝুঁকি নিতে নারাজ রুপঙ্কর। নিজেই তুলে নিলেন গিটার। একসঙ্গে গিটার ও গানের সুর তুললেন। এরপর একসঙ্গে পরপর গেয়ে গেলেন জনপ্রিয় সব গান।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা এই বলিসুন্দরীরা
কে কে নজরুল মঞ্চের পারফরম্যান্সের পর হুগলি নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। রূপঙ্কর বাগচিও তাঁর পারফরম্যান্সের মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছেন। আসলে স্টেজের পারফরম্যান্স খারাপ হলে একজন গায়কের যে কি অবস্থা হয় তা খুব ভালো করেই বোঝেন রূপঙ্কর। আর সেই প্রেস্টিজ ফাইটে নিজের সম্মান বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে তুলে নেওয়া গিটার এবং নিজের গলায় নিজের গানের সুর তোলা... এও এক অভিজ্ঞতা লেবুতলা পার্কের দর্শকদের। অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষ জানান, ' রুপঙ্করের সঙ্গে আমার কলেজজীবন থেকে বন্ধুত্ব। ওর আজকের দায়িত্ব নিয়ে করা পারফরম্যান্স মনে রাখার মতন।'
আরও পড়ুন: শহর থেকে একটু দূরে উইকেন্ড ডেস্টিনেশন
গায়ক রূপঙ্কর বাগচি জানালেন, "আসলে যন্ত্র অনুষঙ্গিক, যিনি বাজাচ্ছেন তিনি নতুন। তাই একটু সমস্যা হচ্ছিল। নিজেই তাই গিটার তুলে নিলাম।'' দর্শক আসন থেকে এক মাঝবয়সীর সটান স্টেজে ওঠে রূপঙ্কর কে প্রণাম। সঙ্গে আবদার, গাইতে হবে ভোকাট্টা...। গায়ক গাইলেন, দেখল গোটা মাঠ। তবে বিতর্ক কী থামাতে পারলেন রূপঙ্কর?