তাঁর ভিডিও বার্তায় গায়ক রূপঙ্কর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকের লাইভ শোয়ের কিছু ঝলক তিনিও দেখেছেন। তিনি যে অনবদ্য গায়ক তা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু লাইভ শোয়ের ভিডিও দেখে রূপঙ্করের মনে হয়েছে, তিনি এবং ইমন, রাঘব, মনোময়, রূপম, অনুপম এর মতো জনপ্রিয় বাঙালি গায়করা আরও অনেক গুণ ভাল গান।
advertisement
এদিকে কেকে (KK) কে নিয়ে বাঙালি শ্রোতার উদ্দেশ্যে ‘পাগলামি’ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এদিন রাতেই এসে পৌঁছাবে কেকে-র মৃত্যু সংবাদ। ভিডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক আগেই শুরু হয়েছিল। কেকের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়ল নেটদুনিয়ার একাংশ। শিল্পী রূপঙ্করকে বয়কটেরও ডাক উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুধু তাই নয়, তিনি এও দাবি করেন, জাতীয় স্তরে কেকে যে পরিমাণ আয় করেন সেটা আঞ্চলিক শিল্পীরা কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই ওই তুলনাতে তিনি যেতেও চান না। রূপঙ্করের বক্তব্য, জাতীয় স্তরে কেকে যে জায়গায় রয়েছেন, বাংলার শিল্পীরাও সেই একই পোজিশনে রয়েছেন। বিশেষত লাইভ শোয়ের ভিডিও দেখে তো তাঁর ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়েছে। তাঁর কথায় যে যে গায়ক গায়িকাদের নাম তিনি নিয়েছেন তাঁরা সকলেই যে কোনও কেকের থেকে অনেক ভাল গান। সম্ভবত রূপঙ্কর বলতে চেয়েছিলেন, বাঙালিদের উচিত আঞ্চলিক শিল্পীদের গান নিয়েও ঠিক ততটাই আগ্রহ দেখানোর যতটা বলিউডি গায়কদের নিয়ে দেখানো হয়।
রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, ‘জীবনে নানা ওঠাপড়ায় আমি ওর পাশে ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড হিসেবে আছি। তোমার এখানে অনেক দিদিরা আছেন যাঁরা তাঁদের জীবনের নানা লড়াইয়ের গল্প বলেন, ওঁদের গল্প শুনে মনে হয় আমার লড়াই অনেক সহজ ছিল। আমরা শুধু চিন্তিত ছিলাম আমার মেয়েকে নিয়ে।’ তখনই রূপঙ্কর বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ও কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে এই সিচুয়েশনে। কোনও বাবা-মা চাইবে না তার সন্তান এসব ফেস করুক। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে দু’জন মানুষ আমার পাশে রয়েছে তারা থাকলে আমার আর কিছুই দরকার নেই।’
বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। আগুন কার্যত দাবানলে পরিণত হয় কেকের কাকতালীয় মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছানোয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটনাগরিকরা। কয়েকজন এমনো অভিযোগ তুলেছেন, রূপঙ্করের ‘অভিশাপ’ লেগেছে কেকের। কেউ বলছেন কালো জাদু করেছেন রূপঙ্কর! অকথ্য ভাষায় নিন্দা চলছে নেটপাড়ায়। শুধু তাই নয় রূপঙ্করের গান বয়কটের ডাকও তোলা হয়েছে নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে থেকে।