গত সোমবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের প্রথম উপন্যাসকে সামনে নিয়ে এলেন রূপম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দীপ প্রকাশনের তরফে দীপ্তাংশু মণ্ডল এবং রূপম ইসলাম-সহ বিশিষ্টজনেরা। 'অনামিকা বলে ডাকতে পারি কি তোমায়' নামে এই বইটিতে দুটি উপন্যাস রয়েছে। প্রথম উপন্যাসের নাম 'চাঁদনিতে উন্মাদ একজন'। দ্বিতীয় উপন্যাসের নামেই বইটির নামকরণ করা হয়েছে। উপন্যাসের মূল চরিত্র ব্রহ্ম ঠাকুর, একজন মনোবিদ। রহস্যময় এই চরিত্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে গল্প। এই ব্রহ্ম ঠাকুর কখনও অসাধারণ আবার কখনও সাধারণ মানুষ। আবেগপ্রবণ, ভালোবাসায় চোখের জল ফেলেন। তবে যেভাবেই হোক জীবনের ছোট বা বড় চ্যালেঞ্জগুলো জিতে নেন এই বৃদ্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন: খোলা হয়েছে অক্সিজেন, কেমন আছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়? হাসপাতাল যা জানাল...
নিজের প্রথম উপন্যাস নিয়ে রূপমের কথা, 'এর আগে আমার সঙ্গীত বিষয়ক চারটে বই প্রকাশিত হয়েছে। একজন সঙ্গীত শিল্পী সঙ্গীত বিষয়ে বই লিখবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে আমি মনে করি আমার মধ্যে একটা লেখক সত্ত্বা আছে। আমি একটা সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, আমার এই সত্ত্বাকে অন্য একটা খাতে বইয়ে দিতে। আগের বছর একটি পূজাবার্ষিকীতে আমার উপন্যাস লেখার সুযোগ আসে। আমি লিখেছিলাম 'চাঁদনিতে উন্মাদ একজন'। কিন্তু উপন্যাসটা খুব একটা বড় নয়, তাই এই বইটার জন্যই আমি দ্বিতীয় উপন্যাসটা লিখলাম। এই বইটি একেবারেই সঙ্গীতকে ঘিরে নয়। এই বইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে একজন পলাতক মনোবিদ। তাঁর একটা অন্ধকার অতীত আছে। আমি চাই লোকে বইটা পড়ুক। আমায় পরামর্শ দিক যাতে আমি আরও ভালো লিখতে পারি।'
আরও পড়ুন: বাংলার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল লতা মঙ্গেশকরের, শিক্ষক রেখেছিলেন বাংলা শিখবেন বলে!
রূপম আরও জানান, তাঁর প্রিয় লেখক সত্যজিৎ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুমায়ুন আহমেদ। তাঁর প্রিয় লেখকদের ওপর ভর করেই তিনি উপন্যাস লেখার রসদ খুঁজে পান। এদিনের অনুষ্ঠানে সুরসাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের জীবনাবসান নিয়েও শোকজ্ঞাপন করেছেন রূপম ইসলাম। এদিনের অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়। তাঁরই নিজের পুরনো কম্পোজিশন 'অনামিকা বলে ডাকতে পারি কি তোমায়' গানটি গেয়ে শোনান রূপম। বইটি প্রকাশের আগেই প্রায় ১২০০ কপি প্রি-বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন লেখক।