গত কয়েক সলমনের ছবিতে একটা ট্রেন্ড স্পষ্ট ৷ প্রেমের সম্পর্কের বাইরেও, সলমনকে নিয়ে পরিচালকরা অন্যান্য সম্পর্ককে ছবির মূল গল্পের মধ্যে নিয়ে এসে ফেলছে ৷ আর এ ব্যাপারে সলমন একেবারেই ‘অতি-সাধারণ’ চরিত্রের অভিনেতা ৷ ঠিক যেমন কুস্তিুগীর ‘সুলতান’, হেল্পফুল ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ আর এবার লক্ষ্মী সিং বিস্ট ওরফে ‘টিউবলাইট’ ৷ এই ছবির মূল আকর্ষণই হল ভাইয়ে ভাইয়ে প্রেম ! আর সঙ্গে আবেগকে তুমুল পর্যায়ে উসকে দিতে ইন্দো-চিন যুদ্ধ, বর্ডার সমস্যা ! যা সম্প্রতিকালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ আর এই বিষয়কেই অন্যভাবে ক্যাশ করলেন পরিচালক কবীর খান ৷ মোটামুটি ‘টিউবলাইট’ ছবির উদ্দেশ্য ও বিধেয় এটাই ৷ আর যা বাকি থাকে, তা হল সলমন খান, সলমন খান ও শুধুই সলমন খান৷
advertisement
এই ছবিতে সলমন খান ‘ইনোসেন্ট’, ‘গোল্ডেন হার্টেড’ একজন মানুষ ৷ যার এক হাসিতেই সমাধান সব কিছু ৷ এই হাসিকে সম্বল করেই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বুঁদ লক্ষ্মী সিং বিস্ট ওরফে সলমন খান ৷ এই সময়ই জীবনে এন্ট্রি করে এক চিনা মেয়ে ও এক বাচ্চা ৷ প্রেক্ষাপটে ইন্দো-চিন যুদ্ধ ৷
কবীর খানের টিউবলাইট ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি এই ছবি থেকে পাওয়া সব থেকে বড় উপহার ৷ গল্প বলার ঢং, বজরঙ্গি ভাইজান ছবি থেকে খুব একটা আলাদা না হলেও, ছবির সংলাপে সাম্প্রতিক কয়েকটি বিষয়ে খুব সুন্দর করে তুলে এনেছেন পরিচালক কবীর খান ৷ যা সত্যিই বাহবা পাওয়ার মতো ৷
শেষমেশ বলা যায়, টিউবলাইট একেবারেই সলমন খানের ফ্যানেদের জন্য তৈরি ছবি ৷ ইদকে মাথায় রেখে, সলমন খানের ফ্যানদের উপহার দেওয়ার জন্য টিউবলাইট ঠিকঠাক একটা গিফট হ্যাম্পার ! যেখানে সলমন ম্যাজিকই একমাত্র ইউএসপি!