‘বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল’– এই গানটি অনেকেরই পরিচিত। গানটির রচয়িতা রতন কাহার। ১৯৭২ সালে তিনি এই গানটি লিখেছিলেন এবং এই গানটি প্রথম গেয়েছিলেন স্বপ্না চৌধুরী। রতন কাহার তিনি বীরভূমেরই বাসিন্দা। তবে তিনি জানান তাঁর চরম অর্থকষ্টের কথা। সঞ্চয় করা টাকা থেকে পাওয়া সামান্য সুদ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোকশিল্পী ভাতায় কোনওরকমে সংসার চলছে তাঁর। কেউ খোঁজও রাখে না ৮৯ বছর বয়সী শিল্পীর।
advertisement
বহু বছর কেউ খবর রাখেননি রতন কাহারের। তবে কয়েক বছর আগে আবার খবরের শিরোনামে ফুটে আসে রতন কাহারের নাম। তবে কি কারণে নাম উঠেছিল এই বিষয়ে জানা যায় বলিউড ব়্যাপ গায়ক বাদশার একটি গান নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পরে রতন কাহার এর নাম উঠে আসে খবরের শিরোনামে। বাদশার বহুল হিট ‘গেন্দাফুল’ গানে তিনি ‘বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল’ গানটির দুটি লাইন ব্যবহার করেছিলেন। তার পরেই সমালোচনার মুখে পড়েন, এই গানটির রচয়িতাকে কোনও কৃতিত্ব না দিয়েই নিজের গানে তাঁর লেখা লাইন ব্যবহার করেছেন বলে।
আরও পড়ুন: মাথায় উকুন? কিছুতেই যাচ্ছে না? এই সাত উপায়ে রাতারাতি পালাবে উকুন! জানুন
বহু বিতর্কের সামনে বাদশা জানান, তিনি কোথাও এ গানের রচয়িতা হিসেবে রতন কাহারের নাম পাননি। জানতেনই না, এই গানের মালিকানা কার। জানার পরে তিনি অবশ্যই সেই শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েছিলন।
যখন বাদশা পুরো বিষয়টি জানতে পারে সেই সময় করোনা পরিস্থিতি চলছিল। বাদশা চাইলেও বীরভূমের রতন কাহারের বাড়িতে আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন: জুতোর সঙ্গে মোজা পরা ভাল না খারাপ? উত্তর জানলে ভয় পাবেন
এর পরে মুম্বই থেকে ভিডিও কলে রতন কাহারের সঙ্গে কথা বলেন বাদশা। আর কথা বলার পরেই রতন কাহারের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠায় বাদশা। তবে এত কিছুর পরেও রতন কাহার এখনও আর্থিক সংকটের মধ্যে নিজের জীবন যাপন করছেন। কয়েকদিন আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩ । আর রতন কাহার এই চন্দ্রযান নিয়ে একটি গান গেয়ে ফেলেছেন।
সৌভিক রায়