ডিআরআই কর্তারা মনে করছেন, কন্নড় অভিনেত্রীর সঙ্গে দুবাইয়ের সোনা পাচার চক্রের গভীর যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, দুবাই বিমানবন্দরেই তাঁর হাতে সোনার বার তুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দুবাই বিমানবন্দরের ভিতরেই উরু, পা আর কোমরে টেপ আর ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে সেই সোনার বার পেঁচিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সূত্রেই তদন্ত সংস্থার অনুমান, রানিয়া শুধু বাহক নন বরং সোনা পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য।
advertisement
বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর রাজ্যের এক প্রোটোকল অফিসার ইমিগ্রেশনে গিয়ে রানিয়া রাওয়ের লাগেজ নিয়ে আসতেন, যাতে চেকিং দ্রুত সম্পন্ন হয়। ফলে দেহ তল্লাশি কিংবা মেটাল ডিটেক্টর স্ক্যানিংয়ের মুখে পড়তে হত না অভিনেত্রীকে। সাধারণত নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ না হলে যাত্রীদের পুরো স্ক্যান করা হয় না।
ডিআরআই-এর এক কর্তার কথায়, “এটা প্রোটকলের অপব্যবহার।” ডিআরআই আরও জানিয়েছে, রানিয়া রাওয়ের দেওয়া তিনটি বিবৃতি থেকে যে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। অধিকাংশ অভিযোগ তিনি অস্বীকারও করেননি। তাছাড়া, এই চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে জানতে অভিনেত্রীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
রানিয়া রাওয়ের মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের অফিসাররা। তবে সেগুলো লক থাকায় এখনও তার অ্যাক্সেস পায়নি ডিআরআই। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রীর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরে গোল্ড বার সহ ধরা পড়ার পর অভিনেত্রীর লাভেল রোডের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং ২.৬৭ কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সোনা পাচারের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে রানিয়া রাও-এর দাবি, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সোনা পাচার করতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে কারা তাঁকে ফাঁসাল, কেন তিনি সোনা পাচার করতে বাধ্য হলেন, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।