তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ভাঙনের পর কী ভাবে নিজেকে ভাল রাখেন তাঁরা? সারা ক্ষণ মানুষের দৃষ্টি তাঁদের দিকে। এ ভাবে নজরবন্দি অবস্থায় কী ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখেন? সব আলোর থেকে দূরে সরে লুকিয়ে যেতে ইচ্ছে করে?
আরও পডুন: সমকামী চরিত্রের জন্য পুরুষের প্রতি দৃষ্টি পাল্টিয়েছি, রণজয়ের প্রথম বলিউড ছবি মুক্তির পথে
advertisement
বোহো ট্রাঙ্ক ক্যাফেতে নিউজ18 বাংলার মুখোমুখি রণজয়। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে কথা বললেন টলি অভিনেতা।
রণজয়ের কথায়, ''সব জেনে বুঝেই অভিনয় জগতে এসেছি। জানি আমার ব্যক্তিগত জীবনে স্পটলাইট থাকবেই। প্রশ্ন শুনতেই হবে। অভিনেতা হওয়ার অঙ্গ এগুলি। তার জন্য আমি প্রস্তুত। কিন্তু হ্যাঁ, এটার জন্য আমি ফেক হতে পারব না। আমি যা, তা-ই থাকব। সত্যের থেকে লুকিয়ে যাব না। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি সেটা বুঝতে পারি। কথা বলার শুরুতে মনে হয়, তাঁদের থেকে আমি অনেক দূরে। পাঁচ-ছয় মিনিট কথা বলার পর বুঝতে পারি, অনেকটাই কাছে চলে এসেছি।''
আরও পডুন: ভিড় রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমাকে দোষারোপ করা শুরু, চমকে দেবে রণজয়ের দাবি!
মানসিক যন্ত্রণা থেকে নিজেকে সারিয়ে তোলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও পথ অবলম্বন করেন না রণজয়। এক এক সময় এক একটি কাজ তাঁকে সাহায্য করে। কখনও বই পড়া, কখনও বা গান শোনা, কখনও আবার বেড়াতে যাওয়া, কখনও আবার কিছু না করাও তাঁকে মানসিক ভাবে সুস্থ করে তোলে। রণজয়ের কথায়, ''যা হচ্ছে হতে দাও। ইট ইস ওকে টু বি নট ওকে (ভাল না থাকাটাকে মেনে নেওয়া)। হতে হতে একটা সময় পর আমি দেখি, ওই হওয়াটা পরে বন্ধ হয়ে যায়। নিজের অশান্ত সত্তাটা হাঁপিয়ে ওঠে। সব কিছু শান্ত হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রে এটা হয়েছে।''
তার মানে মনের ভিতরের ঝড় শান্ত হয়েছে। ভাল আছেন রণজয়।