প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত দিক থেকেও বলি স্টারের জীবন খুব একটা সহজ ছিল না। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পর, ২০০০ সালে তাকে গুলি করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে, তার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই জীবনের লড়াইয়ে জিতে যান তিনি৷
আরও পড়ুন: স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী নন, তবুও প্রতি মাসে অভিষেক বচ্চনকে গুণে গুণে ১৮ লক্ষ টাকা দেয় SBI!
advertisement
নিউজ18 Showsha-এর সাথে এক্সক্লুসিভ চ্যাটে, রাকেশ বলেন যে তিনি কখনও এই সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব দেননি৷ তিনি বরং তার কন্যা সুনাইনা রোশনের কাছ থেকে সবসময় এগিয়ে চলার শক্তি পেয়েছেন। হৃত্বিক রোশনের বাবা বলছিলেন, “আমি আমার কন্যার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি৷ জীবনের বাধাগুলি মোকাবিলা করার জন্য যে অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন, সেটাও শিখেছি৷ আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই একাধিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছে৷ অনেক সার্জারি হয়েছে ওর। সবসময় ও খুব সাহসী ছিল এবং কষ্টের মধ্যেও এক মুখ হাসি নিয়ে থাকত। এটাই আসল৷ আমি বিশ্বাস করি, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রত্যেকের খুশিতে এবং সন্তুষ্ট থাকা উচিত।”
রাকেশ কন্যা সুনাইনা সার্ভিকাল ক্যানসার, ফ্যাটি লিভার এবং ব্রেন টিউবারকুলোসিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করে আসছেন৷ জীবনের ওঠাপড়া, লড়াই, চ্যালেঞ্জের কাহিনী তিনি ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করেন। রাকেশ রোশন বলছিলেন, তিনি একবার গুলি খেয়েছেন৷ এরপর ক্যানসারের শিকার হয়েছেন৷ কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই তিনি সুনাইনাকে রোল মডেল করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন৷ তাঁর কথায়, “আমি গুলি খাওয়ার সময়ও বিষয়টা খুব হালকাভাবে নিয়েছিলাম। আমি তখনও সবার সঙ্গে হাসি ঠাট্টা করে সময় কাটাতাম৷ কাউকে তো বটেই, নিজেকেও বুঝতে দিতাম না কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ এই একই কাজ করেছি যখন আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। আমি আর হৃত্বিক তো অপারেশনের দিন সকালে একসঙ্গে ওয়ার্ক আউটও করেছি৷”
আরও পড়ুন: হিরোইন মেয়েকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বাবা-মা, হিট ছবির নায়িকা, ১৭০কোটি সম্পত্তি, কোথায় গেলেন?
‘কোই মিল গয়া’ পরিচালক বলছিলেন, “আমরা এক ঘণ্টা জিমে ওয়ার্কআউট করেছিলাম, তারপর আমি রেডি হয়ে হাসপাতালে গেলাম। আমার সার্জারি একটায় হয়েছিল এবং চারটায় আমাকে রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাঁচটা থেকে আমি ফের হাঁটা শুরু করি। আমার বিশ্বাস মনটাই আসল৷ নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যে কোনও কঠিন লড়াই জয় করা সম্ভব৷”
বলিউডের সিনিয়র তারকা এরপর তার স্ত্রী পিঙ্কি রোশনকেও প্রশংসায় ভরান৷ প্রবীন অভিনেতা ও পরিচালকের কথায়, “ও আমাকে বিয়ে করেছিল যখন আমি একজন অভিনেতা হিসাবে মাত্র ২০০ টাকা উপার্জন করতাম। আমার কষ্টের দিনে ও সংসারের ৮০ শতাংশ বোঝা নিজের কাঁধে নিয়েছিল এবং বলেছিল যে আমার সঙ্গে খুশিতেই আছে৷”
সবশেষে রাকেশ রোশন মুখ খোলেন সুপারস্টার ছেলে হৃত্বিককে নিয়ে৷ “আমি আমার পেশাগত হতাশা বাড়িতে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কখনও বাড়িতে বিষণ্ণ হয়ে ফিরিনি। এটাও বুঝেছিলাম, সন্তানদের খুব ছোট বয়সে বিয়ে করা উচিত নয়, অন্তত যখন তারা ২২, ২৩ বা ২৪। আমি ২১ বছর বয়সে একজন সহকারী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিয়েছিলাম এবং সেটাও খুব ছোট বয়স। তাই, আমি নিজেকে বলেছিলাম যে যখন হৃতিক ২৪ বা ২৫ হবে, তখনই আমি তাকে একজন অভিনেতা হিসেবে লঞ্চ করব এবং সেটাই আমি করেছি।”