যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন যে সারাভাই ভার্সেস সারাভাই ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্রাভিনেতা কীভাবে এক পরিবার হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের অভিনয় যতটা না নিখুঁত ছিল, রসায়ন ছিল তার চেয়েও গভীর। এবার সতীশ শাহের প্রয়াণে সেই পরিবারে চিড় ধরল।
advertisement
একটি হৃদয়বিদারক ক্লিপে রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর অন-স্ক্রিন শ্বশুরকে বিদায় জানাতে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। ক্লিপে রাজেশ কুমারকে সতীশ শাহের মৃতদেহ যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে, কারণ তিনি তাঁর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি- ভেঙে পড়েছিলেন। অন্য একটি ক্লিপে সহ-অভিনেতার মৃত্যুতে কাঁপতে থাকা রূপালিকে পাপারাজ্জিদের হাত জোড় করে তাঁর রেকর্ডিং বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়ে চোখের জল লুকিয়ে রাখতে দেখা গিয়েছে।
সারাভাই বনাম সারাভাই ধারাবাহিকে অন-স্ক্রিন ছেলেদের চরিত্রে অভিনয় করা ব্যক্তিরাই প্রথমে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। রবিবার ভোরে সুমিত রাঘবন ওরফে বড় ছেলে সাহিল সারাভাই এবং রাজেশ কুমার ওরফে ছোট ছেলে রোশেশ সারাভাই প্রয়াত অভিনেতার মুম্বইয়ের বাসভবনে পৌঁছেছিলেন।
চল্লিশ বছরেরও বেশি দীর্ঘ অভিনয়জীবনে সতীশ শাহ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অগণিত স্মরণীয় চরিত্র, ভারতীয় সিনেমা এবং টেলিভিশনে এক সুপরিচিত নাম তিনি। ১৯৮৩ সালের জানে ভি দো ইয়ারো ছবিতে তাঁর আইকনিক অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি কাল্ট কৌতুকাভিনেতার মর্যাদা অর্জন করেছিলেন। তিনি শক্তি, হাম সাথ সাথ হ্যায়, ম্যায় হুঁ না, কাল হো না হো, ফানা, ওম শান্তি ওম এবং আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। টেলিভিশনে সারাভাই ভার্সেস সারাভাই ধারাবাহিকে ইন্দ্রবদন সারাভাইয়ের চরিত্রে শাহের অভিনয় ভারতীয় ছোটপর্দার অন্যতম আইকনিক কমিক পারফরম্যান্স হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ ইনস্টাগ্রামে সতীশ শাহের প্রয়াণের খবর দেন। সেই পোস্টে অশোক পণ্ডিত জানান যে, কিডনি ফেলিওর হওয়ার কারণে সতীশ শাহ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বাড়িতে থাকাকালীন হঠাৎ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তাঁকে দ্রুত হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি মারা যান।
