ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় শিমুর স্বামী সহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন শিমুর (Raima Islam Shimu) স্বামী সাখাওয়াত আমিন নোবেল। এমনই অনুমান পুলিশের। এছাড়া নোবেলের বন্ধু ফারহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, রবিবার সকালে শ্যুটিংএর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাইমা ইসলাম শিমু। কিন্তু বাড়ি থেকে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সন্ধে হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয় সন্তানরা। এরপরে পরিবারের তরফে থানায় ডায়রি করা হয়। পরদিন অর্থাৎ সোমবার শিমুর দুই টুকরো দেহ উদ্ধার হয় রাস্তার ধারে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
advertisement
পুলিশ এই ঘটনায় একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। শিমুর স্বামী নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, শিমুকে তাঁর স্বামী প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে মারধর করত। তবে এর পাশাপাশি আরও একটি দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অভিনেতা জায়েদ খানের নাম। কিছুদিন আগে নাকি শিমু জায়েদ খানের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন। সেই বিষয়ের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের যোগ আছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জায়েদ খান।
আরও পড়ুন- 'ছড়ানো নাকের ফুটো, মাড়ি দেখানো হাসি', চেহারা নিয়ে তির্যক মন্তব্য শুনে কী বলেছিলেন কৃতী
প্রসঙ্গত, কাজী হায়াতের 'বর্তমান' ছবির মাধ্যমে শিমু (Raima Islam Shimu) অভিনয় কেরিয়ার শুরু। এর পরে বহু ছবি ও নাটকে কাজ করেছেন শিমু। বর্তমানে তিনি এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মার্কেটিং বিভাগে কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তাঁর নিজস্ব একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে।