প্রীতীশকে ‘ইয়ারোঁ কা ইয়ার’ বলে অনুপমের স্মরণ, ‘‘অসাধারণ কবি, লেখক, ছবি পরিচালক এবং সাহসী সাংবাদিক ছিলেন তিনি৷ মুম্বইয়ে লড়াই শুরু করার দিনগুলিতে তিনি ছিলেন আমার মূল ভরসা এবং শক্তি৷ জীবনে যে কয়েক জন সাহসী মানুষের পরিচয় পেয়েছি, প্রীতীশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷ তিনি সব সময়ই লার্জার দ্যান লাইফ৷’’
১৯৫১ সালের ১৫ জানুয়ারি বিহারের ভাগলপুরে জন্ম প্রীতীশের৷ প্রিন্ট এবং বৈদ্যুতিন-দুই মাধ্যমেই বিনোদনমূলক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নজির তৈরি করেছিলেন তিনি৷ নয়ের দশকে দূরদর্শনে তাঁর সঞ্চালনায় ‘দ্য প্রীতীশ নন্দী শো’ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল৷
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ট্রেন থেকে চিকিৎসা পরিষেবা, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিশেষ বন্দোবস্ত শিয়ালদহ ডিভিশনের
তাঁর সম্পাদনায় ‘ইলাস্ট্রেডেট উইকলি’ পৌঁছেছিল এক বিশেষ উচ্চতায়৷ প্রীতীশ প্রযোজিত ছবিগুলির মধ্যে ‘ঝঙ্কার বিটস’, ‘চামেলি’, ‘হাজারো খোয়ায়েশি অ্যায়সি’, ‘এক খিলাড়ি এক হাসিনা’, ‘আঁখে’, ‘প্যায়ার কা সাইড এফেক্টস’, ‘বো ব্যারাকস ফর এভার’ চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে দর্শকমনে৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজ্যসভায় শিবসেনার সাংসদ৷ বিনোদন এবং সাংবাদিকতা জগতের অনেকেই প্রীতীশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন৷